নাটোরে হা ডু ডু খেলা দেখতে হাজারো মানুষের ঢল

নাটোরে হা ডু ডু খেলা দেখতে হাজারো মানুষের ঢল

Other

নাটোরে জাকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা ডু ডু খেলা। আর এ খেলা দেখতে আশপাশে কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভীড় করে মাঠ প্রাঙ্গণে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মানুষের মাঝে অকেটাই স্বস্তি ফিরেছে। টানা দুই বছর গ্রামবাংলার মানুষেরাও বঞ্চিত হয়েছে বিনোদনের জায়গা থেকে।

হাডুডু জাতীয় খেলা হলেও নিয়মিত আয়োজন না হওয়ায় ঐতিহ্য হারাতে বসেছে খেলাটি। গ্রাম-গঞ্জে অতিজনপ্রিয় খেলাটির আসর এখন আরও নিয়মিত হয় না। দু-এক জায়গায় আয়োজন হলে ঢল নামে মানুষের। এমনই এক আয়োজন হয়েছিল নাটোরের সিংড়ার চামারী ইউনিয়ন পরিষদে।

হাজার হাজার মানুষের সমাগমে শেষ হলো জনপ্রিয় হাডুডু ফাইনাল খেলা। তবে জাতীয় এই খেলাটি ধরে রাখতে সরকারি ভাবে আয়োজনের দাবি খেলোয়ার সহ সংশ্লিষ্টদের।

চারদিকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম, আর মাঝখানে নিজেদের শারীরিক করসত দেখাচ্ছেন দেশের ঐতিহ্যবাহী হা ডুডু খেলার খেলোয়াররা। মুহুমুহু তালিতে দর্শকরা উৎসাহ দিচ্ছেন খেলোয়ারদের। গ্রাম বাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় জাতীয় খেলা হা ডুডুর যে কদর কমে যাননি সিংড়ার চামারী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে মানুষের সেই ঢলই তা প্রমান দিয়েছে। না খাওয়া ভুলে তীব্র গরমে দেখতে এসেছিলেন হা ডুডু খেলা।

সোহেল রানা নামে এক দর্শক বলেন, হাডুডু ফাইনাল খেলা দেখতে সকাল ১০টার সময় এসেছি। আর খেলা শুরু হবে বিকেল ৪টার দিকে। দুপুরে খাওয়া হয়নি। তবে খেলাটা দেখে খুব আনন্দ পাবো বলে আশা করছি।

রফিকুল ইসলাম নামে আরেক দর্শক বলেন, ছোটবেলায় গ্রাম গঞ্জে হাডুডু খেলা নিয়মিত হতো। কিন্তু কালের আবর্তে এখন আর এই খেলার আয়োজন হয়না। মাঝে মাঝে কোন গ্রামে হলে, সেখানে সাধারণ মানুষের ঢল নামে খেলা দেখার জন্য।

হাডুডু খেলোয়ার জানান, জনপ্রিয়তার কারণে এই হা ডুডু খেলাকে জাতীয় খেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কালের আবর্তে এখন আর নিয়মিত আয়োজন হয়না খেলাটির। যার কারণে বর্তমান প্রজন্মে কাছে এই খেলাটি অনেকটা অচেনা। এখনও যারা এই খেলা ধরে রেখেছেন তাদের মুখে যেন আক্ষেপের শেষ নেই।

জাতীয় খেলা হলেও খেলোয়ার হিসাবে কোন মর্যাদা তো দূরে থাক জাতীয় ভাবে এর কোন আয়োজনও তেমন হয়না বলে জানান হাডুডুর সুনাম ধণ্য খেলোয়ার টাইগার। তার দাবি খেলোয়ার তৈরিতে অঞ্চল ভিত্তিক জাতীয় ব্যবস্থাপনায় এমন আয়োজন করা হোক।

আয়োজকরা জানান, ঐতিহ্যবাহী এই খেলাকে ধরে রাখতে জাতীরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী নাটোর, পাবনা ও নওগাঁ জেলার ১৬টি দল নিয়ে হারিয়ে যাওয়া এই খেলার আয়োজন করেছিলেন চামারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

বর্তমান প্রজন্মের কাছে হাডুডু খেলাকে পরিচিত করার পাশাপাশি ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এমন আয়োজন ছিল। ফাইনাল খেলায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর শ্রমিক ইউনিয়ন ৮৯-৫০ পয়েন্টে সিংড়ার মহিষমাড়ি দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। পরে বিজয়ী দলের মাঝে পুরুস্কার তুলে দেন চামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা।

news24bd.tv/ কামরুল