সম্রাটসহ ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের তথ্য পেয়েছে সিআইডি

Other

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ও বহিষ্কৃত কমিশনার মোমিনুল হকসহ ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, সিআইডি।  

রোববার হাইকোর্টের সংশ্লীষ্ট শাখায় সিআইডির জমা দেয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তারা সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমান অর্থপাচার  করেছে প্রতিবেদনে বলা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দীন জানান, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে বিএফ’আই’ইউ।

হাইকোর্টের অবকাশ শেষ হলেই এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।  

গত ফেব্রুয়ারিতে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে সুইচ ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থপাচারকারীদের তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট। এর পর দুদক সম্রাটসহ অর্থ পাচারকারীদের একশ জনের নামের তালিকা প্রতিবেদন জমা দেয় হাইকোর্টে। তাতে ২৫ শো কোটি টাকা পাচারের প্রাথমিক তথ্য দেয় সংস্থাটি।

  কিন্তু তাতে সন্তুষ্ঠি হতে না পেরে নতুন পাচারকারীদেন নাম ও অর্থের পরিমান জানতে চান আদালত।

সেই নির্দেশনার প্রায় ৮ মাস পর এবার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারকারী ১৬ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা ও অর্থের পরিমান প্রতিবেদন আকারে দাখিল করেছে দুদক। এতে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ও বহিষ্কৃত কমিশনার মোমিনুল হক সাঈদ, এনামুল হক আরমান, রাজীব হোসেন রানা, জামাল ভাটারা,  শাজাহান বাবলুর নাম রয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৮টি মামলায় এসব ব্যাক্তিদের অর্থপাচারের তথ্য উঠে এসেছে। এ টাকার অংক কয়েক হাজার কোটি টাকা। টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। দেশে এই টাকা শিগগিরই উদ্ধার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিটকারী আইনজীবী।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচারকরা অর্থ ফেরত আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে  বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নাম-ঠিকানা ও তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান আদালত।

news24bd.tv/ কামরুল