আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন দুবাই এর সমাবর্তনে একমাত্র বাংলাদেশি তানবির

আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন দুবাই এর সমাবর্তনে একমাত্র বাংলাদেশি তানবির

অনলাইন ডেস্ক

অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইউনাইটেড আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন দুবাই-এর ২০২০ সমাবর্তন। স্বনামধন্য সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ মেজর ইন ফাইন্যান্স সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশের তানবির হোসেন। ২০১৫ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসাবে তিনিই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

তানবির বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলের সোনাইমুড়ী উপজেলার মোহাম্মদ মহসিন এর সন্তান।

তিনি মাধ্যমিক পাস করেছেন গ্লোবাল স্কলার স্কুল আন্ড কলেজ থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন ক্যামব্রিয়ান স্কুলে (ইংরেজি ভার্সন) থেকে। পরে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ২০১৫ সালে দুবাই যান। সেখানে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন দুবাইতে স্নাতকে ভর্তি হন।
 

২০২০ সালে দুবাইয়ের  সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন করেছন বাংলাদেশি এই শিক্ষার্থী। তাছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরও সেই দেশে অনেক সুবিধা রয়েছে। মেধা অনুযায়ী ২৫% পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়া যায় বলে জানান সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা তানবির হোসেন।

বাইরে পড়াশোনার বিষয়ে তানবির হোসেন বলেন,ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি এবং অনেকটা বাস্তবসম্মত পড়াশোনায় এগিয়ে যাওয়া যায়। সাধারণত বিবিএ-তে তারা অনেক বিজনেজ রিলেটেড সফটওয়ারে কাজ শেখায় যা বাস্তব জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

সেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী হিসেবে সাধারণত আমরা বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা করে চাকরি পাই না। কিন্তু এখানে স্কলারশিপ পেয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে এবং পড়াশোনা শেষে দেশের সর্বোচ্চ কোম্পানিগুলোতে চাকরির সুযোগ রয়েছে।

 সেখানে শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার থেকে সোল প্রোপ্রাইটারশীপ ব্যবসা করার সুবিধা রয়েছে এবং সাথে সরকারি বিশেষ সাপোর্ট পাওয়া যায়। তাছাড়া শতভাগ লোকাল স্পন্সারশিপ ছাড়া ব্যবসা শুরু করা যায় যদি ইনভোটিভ এবং সাস্টেনেবল রিলেটেড ব্যবসা হয়।

এখান থেকে খুব সহজেই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা যায় উল্লেখ করে তানবির বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবার ইউএসএ এবং ইউকেতে পড়ে অন্য ইউনিভার্সিটিতে কোর্স করে অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। যা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এক্সপিরিয়েন্স নামে পরিচিত। তাছাড়া বাস্তব জীবনে অভিজ্ঞতা নেয়া যায় বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স এ জয়েনের মাধ্যমে।

news24bd.tv

ভালো ফলাফলের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তির সুবিধা রয়েছে জানিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, নির্ভর করে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল এবং আইএল্টিএস(IELTS) গ্রেডের ওপর। তাছাড়া দুবাইয়ের রাষ্ট্রপতি মহামান্য শেখ মোহাম্মদ বিন রশীদ আল মাক্তোমের (MBRSC) স্কলারশিপ আছে। যদি সিজিপিএ ৩.৫ মেইন্টেন করা যায় তাহলে আরও এক সেমিস্টারের বেতন ফ্রি করে দেয়।

আরও পড়ুন


বঙ্গবন্ধু যেতেই গুলি বন্ধ করল বিডিআর

মানুষের সঙ্গে যেভাবে কথা বলতেন বিশ্বনবী

সূরা বাকারা: আয়াত ১২৮-১৩৩, আল্লাহর নির্দেশ ও হয়রত ইব্রাহিম (আ.)

কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’


তানবির বলেন, এছাড়া পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন চাকরি করার অনুমতিও পাওয়া যায়। যদি সে ইউনিভার্সিটির স্পন্সারশিপ থাকে। তাছাড়া কোম্পানি যেমন, ইউনিলিভার, মাইক্রোসফট,  আইবিএম, ফেসবুক, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, এইচবিসি, পিএন্ডজি' তে ও ভালো ইন্টার্নশিপ করার সুবিধা রয়েছে যদি সে কোয়ালিফাই হয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, কাগজপত্রের তেমন ঝামেলা নাই। আগে অফার লেটার পেতে হয়। যা পেতে ১০ থেকে ১২ গ্রেডের সার্টিফিকেশন মিনিস্ট্রি থেকে এটাচ করাতে হয়। তাছাড়া ব্যাংক স্টেইটমেন্ট এর কোনো ঝামেলা নেই।

অফার লেটার পেলেই ইউনিভার্সিটি থেকে স্পন্সারশিপ দেয়া হয় এবং যা মিনিস্ট্রি অব ইডোকেশন থেকে পারমিটেড এবং ভিসা ফিস মাত্র ৫০০ দিরহাম নেয়া হয়। যেখানে ইমপ্লোইমেন্ট ভিসার ফিস ৫০০০ দিরহাম উপর। ।

news24bd.tv/আলী