ষষ্ঠ হিজরিতে মক্কার মুশরিকদের সঙ্গে হুদাইবিয়ার সন্ধিচুক্তি হওয়ার পর বহির্বিশ্বের সঙ্গে মদিনার ইসলামী রাষ্ট্রের যোগাযোগের সুযোগ অবারিত হয়। এ সময় নবী করিম (সা.) বেশ কয়েকজন বিদেশি রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠান। চিঠিগুলো দ্বিনের ব্যাপারে নবীজি (সা.)-এর আত্মবিশ্বাস, তাঁর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও কল্যাণকামিতার পরিচয় মেলে।
নবী কারিম (সা.) যাদের কাছে চিঠি প্রেরণ করেন মিসরের অধিপতি ‘মুকাওকিস’ তাদের অন্যতম।
মূলত আরব মিসরের অধিপতিদের ‘মুকাওকিস’ উপাধিতে সম্বোধন করত। তার প্রকৃত নাম ছিল জুরাইজ ইবনে মিনা। সে ছিল কিবতি বংশোদ্ভূত। রাসুলুল্লাহ (সা.) হাতিব ইবনে আবি বালতা (রা.)-কে তাঁর কাছে প্রেরণ করেন।মুকাওকিস ইঞ্জিলের জ্ঞান রাখতেন, যাতে নবীজি (সা.)-এর আগমনের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি নবী (সা.)-এর সত্যতার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যান। কিন্তু রাজত্ব হারানোর ভয়ে ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ইসলাম গ্রহণ না করলেও মুকাওকিস রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য একটি মূল্যবান পোশাক, একটি উন্নতজাতের খচ্চর এবং দুটি বাঁদি উপহার পাঠান।
আরও পড়ুন:
প্রোগ্রামে ‘বোরকা না পরার’ নির্দেশ ঢাবি ছাত্রলীগ নেত্রীর!
রাজধানীতে ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে সাকিব-মুস্তাফিজের কার্যকর বোলিংয়ে স্বস্তির জয়
বিশ্বে আবারও করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে
অন্য বর্ণনায় উল্লিখিত উপহারের সঙ্গে আরো এক হাজার মিসকাল স্বর্ণ, ২০টি মিসরীয় কাপড়, একটি গাধা, একটি ঘোড়া, একটি কাচের পাত্র, কিছু মধু ও একজন দাস প্রেরণের কথা এসেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর আচরণের উত্তরে বলেন, ‘হতভাগ্য রাজত্ব রক্ষার চিন্তা করেছে। কিন্তু তাঁর রাজত্ব টিকবে না। ’ (জাদুল মাআদ, পৃষ্ঠা ৪০; মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস : ২/২২২)
news24bd.tv রিমু