যশোরের দুঃখ ভবদহে আবার জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে অনেক গ্রাম

যশোরের দুঃখ ভবদহে আবার জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে অনেক গ্রাম

Other

যশোরের দুঃখগাঁথা ভবদহ আবারও গ্রামের পর গ্রামকে প্লাবিত করে মানুষের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। যশোর-খুলনা-সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৪শ’ গ্রামের ১৫ লক্ষ মানুষের জীবন ভবদহের অভিশাপে বিপন্ন হয়ে উঠেছে।  

সাধারণ মানুষ যশোরের অভয়নগরের আমডাঙ্গা খাল সংস্কার আর টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) বা জোয়ারাধার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অভিশাপের এ গ্লানি থেকে মুক্ত হতে পারবে বলে জানিয়েছে।

ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, প্রকল্পের নামে লুটপাট, দুর্নীতি, স্বজনপ্রতি আর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পানি উন্নয় বোর্ডের খামখেয়ালির কারণে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হয়নি।

আবারও জলাবদ্ধতার শিকার যশোরের ভবদহ এলাকা। গ্রামের পর গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরের কোথাও হাটুপানি। কোথাও কোমর পানি।

রাস্তা সংলগ্ন প্রতিটি বাসাবাড়িতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যমে বাঁশের সাঁকো। আর দূর গ্রামের বাড়িতে যাবার বাহন নৌকা। পাকাবাড়িতে কোনোরকম থাকার ব্যবস্থা থাকলেও কাঁচাবাড়িতে মানুষের বসবাস রুপকথার গল্পকেও হার মানায়।

পলি জমে এ অঞ্চলের চারটি নদীর তলদেশ উচু হওয়ায় পজায়ারের পানি উপচে ভাসিয়ে দিচ্ছে আশপাশের গ্রামগুলোর জনবসতি, চাষের জমি, খাল, বিল আর মাছের ঘের। ইতিমধ্যে ভবদহ এলাকার ৪০ গ্রামে ঢুকেছে পানি। প্রতিদিনই তা বাড়ছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় এ অঞ্চলের প্রায় দুই লাখ মানুষ অবর্ননীয় কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। করোনার কারণে কর্ম নেই। রান্নার জায়গা নেই। ফলে মানবেতর জীবন যাবন করছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন


কানাডায় কনসাল জেনারেল নাইম উদ্দিনকে বিদায় সংবর্ধনা

বাংলাদেশ টিমের সংবাদ সম্মেলন বয়কটের কারণ জানাল সাংবাদিকরা

শীর্ষে উঠার লড়াই, পিএনজির বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা কে এই ইকবাল?


ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রকল্পের নামে লুটপাট, দুর্নীতি, স্বজনপ্রতি আর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের খামখেয়ালির কারণে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে বিল কপালিয়ায় টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) বাস্তবায়নের দাবি তাদের।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: তাওহীদুল ইসলাম বরাবরের মতো বলছেন, প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

আর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলছেন, তাদের দিক থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত যেন জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হয় সে জন্য সব ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রতিবছর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর, ডুমুরিয়া, ফুলতলা ও যশোর সদর উপজেলার ৪ শতাধিক গ্রামের ১০ লক্ষাধিক মানুষ জলাবদ্ধার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই ত্রাণ বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চান ভবদহ অঞ্চলের মানুষ।

news24bd.tv এসএম