ঠাকুরগাঁও শহরের গোয়ালপাড়া হেডস এর মোড়ে গত শনিবার (১৬ই অক্টোবর) আনুমানিক রাত ৮টায় পরিবারের লোকজনের সামনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে দুই সন্তানের "মা" মুসলেমিনা আক্তার লিজা (৩০)।
পরে প্রতিবেশীরা লাশ উদ্ধার করে আধুনীক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। কিন্তু তার পরের দিন রোববার এ ঘটনায় লিজার পিতা এসএম মুরশিদ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও চৌরাস্থায় লিজা’র প্রতিবেশি ও পরিবারের লোকজন লিজাকে হত্যাকারী স্বামী অন্য আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে।
লিজাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার নাটক করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেন লিজা’র বাবা। মেয়েকে হত্যাকারিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাবা।
মানববন্ধনে লিজা’র বাবা বলেন আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন তার পাষণ্ড স্বামী জবাইদুল রহমান জুয়েল (৩৮) ও তার পরিবারের লোকজনেরা।
অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ধরে আসামি জুয়েল পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। সে কারণে জুয়েল আমার মেয়ের সংসারে কোন প্রকার খরচ দিত না ও বাসায় যেত না। কিছু বললেই আমার মেয়েকে নির্মম অত্যাচার করত। এ জন্য কয়েকবার পারিবারিক ভাবেও আলোচনা করা হয় ও জুয়েলকে সাবধান করা হয়। পরে জুয়েল আমার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে আমি সেটা দিতে না পারায় সে আমার মেয়েকে হত্যা করে।
লিজা’র প্রতিবেশি ও পরিবারের লোকজন বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এখন দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন:
সারারাত যৌনকর্মে সময় না দেয়ায় হত্যা!
অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
লালমনিরহাটে বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে দুই উপজেলা বিদ্যুৎ বিহীন
পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা কে এই ইকবাল?
news24bd.tv/ কামরুল