মহামারীর পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। আর তাতে দীর্ঘদিন আটকে থাকা আমদানি অনেকটাই বেড়েছে। বৈদেশিক লেনদেনের চাপে ব্যাংকগুলোতে চাহিদা বেড়েছে ডলারের। তাতে টাকার বিপরীতে দামও বেড়েছে ডলারের।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিকে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া অন্যদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
স্বস্তির খবর বিশ্বব্যাপী কমে আসছে করোনা মহামারির সংক্রমণ। বাংলাদেশেও মহামারী এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব বলছে, গেলো আগস্ট মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৭৩ শতাংশ। অতীতে কখনই আমদানির এত প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি। অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতি স্বাভাবিক হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিও বেশ খানিকটা বেড়েছে। তাতে ব্যবসায়ীদের কাচামাল সহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। আর হঠাৎ আমদানির চাপ সামাল দিতে তৈরি হচ্ছে ডলার সংকট।
সংকট মোকাবেলায় বাজারে বাড়তি ডলার সরবরাহ করেও দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার উপর গেলো তিন মাস ধরে কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
আরও পড়ুন:
তাইওয়ানকে চীনের হাত থেকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র
অভিযুক্ত ইকবালের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মিশু-রায়হান-অনিকের পরিচয় যেভাবে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরির সুযোগ, আবেদন অনলাইনে
আরও বিস্তৃতি বাড়াচ্ছে আইপিএল, আসছে নতুন দল
সবশেষ সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তাই ব্যাংকগুলোও বাড়তি ডলারের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। খুচরা বাজারে ডলারের দাম ছাড়িয়েছে ৯০ টাকার ঘর। সবশেষ তিন মাসে ১৩০ কোটি ডলার বাজারে ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে প্রায় নয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকায় এখনই দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ তাদের।
news24bd.tv নাজিম