বিয়ে করতে গড়িমসি করায় এবার প্রেমিকেরই জিহ্বা কেটে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রেমিকার বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ধামরাইয়ের ফড়িঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। প্রেমিকের নাম সাইফুল ইসলাম, পেশায় নরসুন্দর। প্রেমিকার নাম শারমীন আক্তার।
তিনি দুই মাস আগে দেশে ফিরে আসেন। তিনি প্রবাসে কর্মরত ছিলেন।প্রেমিক সাইফুলকে মুমূর্ষূ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার বিচ্ছিন্ন জিহ্বা উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, নরসুন্দর মো. সাইফুল ইসলাম বিবাহিত। তার স্ত্রী ১৫ বছর আগে প্রবাসে গেছে, এখনো দেশে ফিরেনি। সেই স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না সাইফুল। সম্প্রতি প্রবাসী স্ত্রীকে তালাক দিতে নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি।
এরিমাঝে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার শারমিন আক্তারের (২৫) গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শারমিন আক্তার স্বামী পরিত্যক্তা, ছিলেন বিদেশে। তিনি দুই মাস আগে দেশে এসেছেন।
আরও পড়ুন : আপনাদের ভালোবাসাই আমার চলার পথের পাথেয় : হানিফ সংকেত
অভিযোগ আছে, সাইফুল ইসলাম বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু বিয়ে না করে দিনের পর দিন সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এতে প্রেমিকা শারমিন আক্তার সাইফুলের ওপর ক্ষিপ্ত হন। সেই থেকে শারমিন প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন। শনিবার সন্ধ্যয় সেই সুযোগ আসে শারমিনের। সন্ধ্য ৬টার দিকে প্রেমিক সাইফুল ইসলাম শারমিনের বাড়িতে গেলে তাকে খাসকামরায় বসতে দেয় প্রেমিকা। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তরঙ্গ মুহূর্তে মিলিত হলে প্রেমিকা শারমিন আক্তার কৌশলে ব্লেড দিয়ে প্রেমিকের জিহ্বা দ্বিখণ্ডিত করে ফেলেন।
প্রেমিকার পিতা শফিকুল ইসলাম, মা পানকা বেগম, ভাই ফারুক হোসেন ও নানা সোরহাব হোসেন মিলে প্রেমিক নরসুন্দর সাইফুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে সাইফুল নিস্তেজ হয়ে পড়লে মৃত ভেবে তারা তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে উপ-পুলিশ পরিদর্শক তন্ময় সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। প্রেমিক নরসুন্দরের কেটে রাখা জিহ্বা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
news24bd.tv/আলী