যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে ইতিমধ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বিচারাধীন ব্যবসায়ী ওসমান কাভালার মুক্তি দাবি করায় গত শনিবার তিনি এ নির্দেশ দেন। খবর রয়টার্সের।
দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন।
এরদোগান যে ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে বলেছেন, তার সাতটিই তুরস্কের ন্যাটো জোটের মিত্র। খবরে বলা হচ্ছে, আঙ্কারা শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি এ রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করলে, এরদোগানের ক্ষমতায় থাকা ১৯ বছরের মধ্যে পশ্চিমের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের ফাটল এবারই সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করতে পারে।
যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই কাভালা বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনকে চাঁদা দিতেন। চার বছর ধরে তিনি কারাগারে।
তুরস্কে নিযুক্ত কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা এক যৌথ বিবৃতিতে কাভালার মামলায় দ্রুত ও ন্যায়সঙ্গত রায় এবং আটক এ ব্যবসায়ীর ‘যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি’ দাবি করেন। এর পরপরই তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায়, তারা যৌথ বিবৃতিটিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলেও অ্যাখ্যা দেয়।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করা হচ্ছে এমন খবরের বিষয়ে তাদের মন্ত্রণালয় অবগত এবং তারা এ বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন:
ইকবালকে নিয়ে পুলিশের অভিযান, যা পাওয়া গেছে!
আগামীকাল নুরের দলের আত্মপ্রকাশ
পাকিস্তানি সমর্থকদের ওপর ভারতীয় সমর্থকদের হামলা, আহত ২
তিন মাসে মিরপুর থেকে ৪২৪ কিশোরী নিখোঁজ!
নরওয়ে বলেছে, তাদের দূতাবাস এখনো এ বিষয়ে তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পায়নি।
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানা পর্যন্ত তারা এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করবে না।
এ ছাড়া এক টুইটে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড স্যাসোলি বলেছেন, ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার হচ্ছে তুরস্ক সরকারের কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার সংকেত। আমরা ভয় পাব না। ওসমান কাভালার মুক্তি চাই।
news24bd.tv রিমু