গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আউশ (বর্ষালি) ধান রোপনে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে। ইরি, বোরো ধান কাটার পর ওই জমিতে ত্রিফলা হিসেবে আউশ ধান চাষাবাদে ঝুকে পড়ছেন কৃষকরা। ‘বোনাস’ ফসল পাওয়ার আশায় উপজেলার সর্বত্রই এখন আউশ ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন চাষীরা।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ইতোমধ্যে ইরি, বোরো ধান কর্তন ও মাড়াই কাজ প্রায় শেষ পর্যায় এসেছে।
এরই ফাঁকে কৃষকরা আউশ ধান রোপন শুরু করেছেন।অনেক কৃষক জমিতে সেচের মাধ্যমে আউশ চাষাবাদ করছেন। অথচ ৫ বছর আগেও সুন্দরগঞ্জে আউশ ধানের চাষাবাদ পরিলক্ষিত হয়নি। আর এখন এর চাহিদা বেড়েই ছলছে।
শান্তিরাম ইউনিয়নের কৃষক আবু বক্কর আকন্দ জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে আউশ ধান লাগিয়েছেন। তার বিশ্বাস, কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিঘা প্রতি ১৩ হতে ১৫ মন ধান পাওয়া যাবে। গেল বছর দুই বিঘা জমিতে ২৮ মন ধান পেয়েছিলেন বলে দাবি তার। তিনি আরও বলেন, আউশ ধানে সার ও বালাই নাশক ওষুধ কম প্রয়োগ করতে হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪৫০ হেক্টর। দিন দিন এর পরিমাণ বেড়েই চলছে। সাধারণত ব্রি-২৮, ব্রি-৪৮ ও ব্রি-৫০ জাতের ধান আউশ মৌসুমে বেশি চাষাবাদ করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান, কৃষিমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সুন্দরগঞ্জে আউশ ধানের চাষাবাদ প্রতি বছর বেড়েই চলছে। অল্প খরচে বোনাস ফসল হিসাবে ইরি ও বোরো ধান কাটার পর আউশ ধান রোপন করা হয়। ১৩০-১৪০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আমন মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই আউশ ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর