শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ রাখা শিক্ষকদের মুক্তি মিললো

শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ রাখা শিক্ষকদের মুক্তি মিললো

অনলাইন ডেস্ক

টানা ১৪ ঘণ্টা প্রশাসন ভবনে অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় মুক্ত হয়েছে অবরুদ্ধ শিক্ষকরা। ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ার জের ধরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার ভোরে পুলিশের সহায়তায় তারা মুক্ত হয়। এদিকে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।

২২ অক্টোবর সিন্ডিকেট সভায় ওই প্রতিবেদনের আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত ছাড়াই সিন্ডিকেট সভা স্থগিত হওয়ায় রাতে আবারও আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:

তাদের ষড়যন্ত্র সমূলে উৎপাটন করতে হবে: নানক

এদিকে চলমান আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে ভেবে আন্দোলনকারী দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সেই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী শাহজাদপুর পৌর শহরের বিসিক মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে।

কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী একাডেমিক ভবনে ফিরে আসে। এরপর শিক্ষকদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে তারা। তর্কের একপর্যায়ে প্রায় ২৫ শিক্ষককে দুপুর ২টার দিকে একাডেমিক ভবনের ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখে তারা। পরে পুলিশ এসে গেটে দেয়া তালা ভেঙে আজ সোমবার ভোর ৪টার দিকেশিক্ষকদের  মুক্ত করেন।

শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মো. আবু জাফর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চক্র শুরু থেকেই শিক্ষক ফারহানাকে বাঁচাতে বিভিন্ন অসাধু প্রক্রিয়া চালু রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করা চেষ্টা করছে। আমরা তার বিচার চাই।

শাহজাদপুর থানার ওসি সহিদ মাহমুদ খান বলেন, পুলিশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষকদের মুক্ত করেছে।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত