আরও ৭ বছর ৭ মাস বেশি বাঁচত ঢাকার মানুষ, যদি...

আরও ৭ বছর ৭ মাস বেশি বাঁচত ঢাকার মানুষ, যদি...

অনলাইন ডেস্ক

লকডাউনে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ঢাকায় আবার বেড়েছে বায়ু দূষণ। যা দিনদিন বিপজ্জনক আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে চলতি মাসের (অক্টোবর) শুরুর দিকের তুলনায় শেষ দিকে তা আরও খারাপ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০ শহরের একটি ঢাকা।

মাঝে মাঝেই বেইজিং ও দিল্লিকে ছাপিয়ে সূচকে সবার ওপরে উঠে আসে ঢাকার নাম, বিভিন্ন সূচকে এমনটিই দেখা যায়।

গত ৫ বছরে ঢাকার বাতাস আরও বেশি বিষাক্ত হয়েছে। দিনের চেয়ে রাতের বাতাসে দূষণের মাত্রা আরও ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু তাই নয় সম্প্রতি শিকাগো ইউনিভার্সিটির এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স’র তথ্যমতে, ঢাকায় বায়ুদূষণ না থাকলে মানুষ আরও প্রায় ৭ বছর সাত মাস বেশি বাঁচতে পারতো।

এছাড়া একই কারণে সারাদেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় ৫ বছর চার মাস।

ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়তে থাকায় শঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই যদি উদ্যোগ না নেওয়া হয় তাহলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শুষ্ক মৌসুমে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা তৈরি হতে পারে।

বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ড. কামরুজ্জামান বলেন, বায়ুদূষণ বাড়ার সবকিছুই এখন পুরোদমে চলছে। করোনার লকডাউন উঠে যাবার পর থেকেই মূলত বাতাসে দূষণ বাড়তে শুরু করেছে। এখন সাবই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। গণপরিবহন চলাচল, শহরের আশপাশে গড়ে ওঠা ইটভাটা, শহরের মধ্যে মেগা প্রজেক্ট, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যার কারণে বাড়তে শুরু করেছে বায়ুদূষণ।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ সুস্থ: ফখরুল

তিনি বলেন, বায়ুমান সূচক যদি তিনদিন ৩০০ পয়েন্টের ওপরে যায়, এবং তা যদি ৩ ঘণ্টার মতো থাকে, তাহলে বাতাসের দূষণগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে যে অবস্থায় আছে, তাতে শীতকালে সেটা সেখানে গিয়েই দাঁড়াবে। এখনই উদ্যোগ না নিলে আগামী ডিসেম্বরে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

এমন অবস্থায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি সরকারকেও উদ্যোগ নিতে হবে। সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

news24bd.tv/তৌহিদ