কুমিল্লার ঘটনায় পেছনের কারিগরদের খোঁজা হচ্ছে

কুমিল্লার ঘটনায় পেছনের কারিগরদের খোঁজা হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার পেছনের কারিগরদের খুঁজতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা। জানা গেছে, টানা জিজ্ঞাসাবাদেও মুখ খুলছেন না রিমান্ডে থাকা ইকবাল হোসেনসহ চার আসামি।

এদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিআইডি। গত রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (অপরাধ-পূর্ব) মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সই করা এক চিঠিতে মামলাটি কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছ থেকে সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

গতকাল সোমবার সকালে কুমিল্লার সিআইডি কর্মকর্তাদের কাছে মামলার কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম। এ সময় রিমান্ডে থাকা এই মামলার প্রধান আসামি ইকবাল হোসেনসহ চারজনকেও হেফাজতে নেয় সিআইডি। ইকবাল ছাড়া রিমান্ডে থাকা অন্য তিনজন হলেন মো. হুমায়ুন কবির, মো. ফয়সাল আহমেদ ও মো. ইকরাম হোসেন।

গতকাল সকাল থেকেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন সিআইডি কর্মকর্তারা।

ইকবালকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে তা স্বীকার করেননি তিনি। ইকবাল নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও অন্য তিনজন এখনো নিজেদের নির্দোষ দাবি করে যাচ্ছেন।  

গত রবিবার রাত ১১টার দিকে ওই পূজামণ্ডপের হনুমানের মূর্তির হাত থেকে ইকবাল হোসেনের নিয়ে যাওয়া সেই গদাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ ও সিআইডির একটি দল নগরীর দারোগাবাড়ি মাজারের পাশের চৌধুরী ভিলার প্রাচীরের ঝোপের ভেতর থেকে গদাটি উদ্ধার করে। এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল বলেছেন, তিনি গদাটি পুকুরে ফেলেছেন। উদ্ধারের সময় ইকবাল সেখানে ছিলেন।

কুমিল্লা সিআইডির একটি সূত্র জানায়, মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পর ইকবালকে প্রাধান্য দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ইকরামকেও। কারণ তাঁরা দুজনই ঘটনা বাস্তবায়নে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার দিন সকালে মানুষকে উসকে দিয়ে সহিংসতাও ছড়িয়েছেন তাঁরা। তবে ইকবাল ছাড়া বাকিরা এখনো কেউ-ই মুখ খুলছে না।

গতকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লা সিআইডির পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান জানান, ঘটনার গভীরে কারা ছিল, তাদের টার্গেট করেই তদন্ত চলছে। ইকবালকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও গতকাল পর্যন্ত পেছনে জড়িতদের নাম স্বীকার করেননি তিনি। ইকরাম এবং দুই খাদেমকেও ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা তাঁদের যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন:


মিরপুর থেকে ৪২৪ কিশোরী নিখোঁজ, শিগগির সামাজিক বৈঠক পুলিশের

উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের ওই পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পর ঢাকা ও কুমিল্লা পুলিশের কয়েকটি দল তদন্তে নামে। তারা ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে। দীর্ঘ তদন্ত ও অনুসন্ধানের পর মণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তি যে ইকবাল হোসেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয় তারা।  

news24bd.tv রিমু