মা কালী সেজে জনগণকে তাক লাগালেন রিখিয়া

মা কালী সেজে জনগণকে তাক লাগালেন রিখিয়া

অনলাইন ডেস্ক

শিল্পীর এত সুনিপূন কারুকাজ দেখে হাজার বার তাকালেও চোখে ধরা পড়ছে না কোনও পার্থক্য। বার বার চোখ চলে যায় দেবামূর্তির দিকে। পেশায় রূপটান শিল্পী সোদপুরের মুক্তি রায়ের হাতেই সম্ভব হয়েছে এমন কাজ। সুক্ষ্ম হাতে মূর্তির আদল ফুটিয়ে তুলেছেন এক নারীর শরীরে।

আর মুক্তির একেক ধাপে সমান ধৈর্যে দেবীমূর্তি হিসেবে নিজেকে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মডেল রিখিয়া চক্রবর্তী। দমদমের কন্যা নিজেকে গড়ে তুলতে সময় দিয়েছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আর নির্মাণ শেষে প্রণাম করেছে অনেকে। ভেবেছেন সত্যিকারের দেবীমূর্তি।

কিন্তু নৈহাটির এই ‘বড় মা’ আসলে একটি ফটোশ্যুটের ফল।

মা কালী রূপে ভারতের দমদমের রিখিয়া

আনন্দবাজার সূত্রে জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির অরবিন্দ রোডে আয়োজন করা হয় জনপ্রিয় ‘বড় মা’ কালীর পুজো। গত ১০০ বছর ধরে এই পুজ হয়ে আসছে। প্রথমদিকে এটি বাড়ির পুজো হলেও পরবর্তীতে এটি সর্বজনীনে রূপ নেয়। এই পুজার ২২ ফুট দীর্ঘ প্রতিমার জনপ্রিয়তা দেশে-বিদেশে। সেই প্রতিমার আদলেই রিখিয়াকে সাজিয়েছেন মুক্তি রায়। তিনি জানান, বছর দশেক আগে প্রথম বার নৈহাটির বড় মায়ের পুজোয় যাই। ওই বিশাল মূর্তি আর তার ভাব দেখে আমার চোখে পানি চলে আসে। সেই মায়ের রূপই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম। প্রথমে ভয় এবয় দ্বিধা থাকলেও শেষ পর্যন্ত করে ফেললাম।

আরিয়ানের জামিন শুনানি আজ, টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব

যার শরীরে প্রতিমার আদল আঁকলেন শিল্পী, সেই রিখিয়ার বলেন, তাঁরা এক অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন। আবেগে ভাসছেন। বলেন আমরা জানতাম এই ছবি ভাইরাল হবে। কিন্তু এতটা হবে, বুঝতে পারিনি। প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা সে দিন চোখ বুজে ছিলাম। চোখের উপর আঁকা শুরুর সময় থেকে ছবি তোলার সময় পর্যন্ত। তবে কেনো ক্লান্তি ছিল না। বড় মা মানে একটা আবেগের জায়গা। সেটা কোনও ভাবে আহত হলে আমাদের সমালোচনা করা হত, তাই সতর্ক ছিলাম। আজ সেটার ফল পাচ্ছি।

রিখিয়া মেকা-আপের সময় শুধু দাঁড়িয়ে থেকেছেন তাই নয়, চোখ বন্ধ করে ছবি তুলেছেন টানা ৪-৫ ঘণ্টা। সেই ছবিই এখন ভাইরাল। তবে মুক্তি ও রিখিয়ার দাবি, মানুষের এমন সাড়া তারা কেউ আশা করেনি। তাঁদের মনে হয়েছিল, কালীপুজোর কয়েক দিন আগে এই ছবি মুক্তি পেলে মানুষ হয়তো সাধুবাদ দেবেন, কিন্তু তা পরিণত হলো উচ্ছ্বাসে।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত