ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কিশোরগঞ্জে

অনলাইন ডেস্ক

কিশোরগঞ্জে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। বদ্ধ জলাশয়ে কচুরিপানার বেডে কম খরচে কীটনাশকমুক্ত এসব সবজির ভালো ফলন হচ্ছে।  

অন্যান্য সবজির তুলনা বাজার এর চাহিদা অনেক। সীমিত পরিসরে শুরু হলেও পুরো জেলায় ভাসমান সবজি চাষের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে, কৃষি বিভাগ।

 

কিশোরগঞ্জের কয়েকটি উপজেলায় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ভাসমান পানিতে বিশেষ পদ্ধতিতে নানা জাতের সব্জির আবাদ। কচুরিপানা দিয়ে ছোট ছোট বেড তৈরি করে চাষ হচ্ছে, লাউ, কুমড়া, ঢেড়স, বরবটি, লালশাক, ঝিঙ্গা, বরবটিসহ বিভিন্ন সবজি।  

সার কিংবা কীটনাশক ছাড়াই বর্ষা মওসুমে প্রায় ৬ মাস এ পদ্ধতিতে সবজির আবাদ করা যায়। অনান্য সবজির তুলনায় ভাসমান বেডে চাষ করা এসব সবজি স্বাস্থ্যসম্মত, সুস্বাদু।

ফলন বেশি হয় এবং বাজারে দাম পাওয়া যায় বেশি। যে কারণে দিন দিন কৃষকরা ভাসমান পদ্ধতিতে সব্জি আবাদে উৎসাহিত হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের সরকারি ভর্তুকির টাকায় বাড়ির পাশের নদী,খাল-বিল ও অনাবাদি বদ্ধ জলাশয়ে কচুরিপানা দিয়ে কৃষকদের বেড তৈরিসহ বিনামূল্যে সবজির বীজ ও নগদ টাকা দেয়া হয়। বছরের প্রায় ৬ মাস চাষ করা যায় সবজি।  


আরও পড়ুন: 

১০ মিনিটের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন

এনআইডি নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ


আর পানি শুকিয়ে গেলে কচুরিপানার বেড জৈব সার হিসেবে অনান্য ফসলে ব্যবহার করা যায়। প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে সবজি চাষ শুরু হলেও পুরো জেলায় এটি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বলে জানালেন, জেলা বিভাগের এ কর্মকর্তা।

কিশোরগঞ্জে বর্তমানে জেলা সদর, করিমগঞ্জ ও নিকলী উপজেলায় এই পদ্ধতিতে সব্জির আবাদ হচ্ছে।

news24bd.tv নাজিম