বদ্ধ জলাশয়ে কচুরিপানার বেডে কীটনাশকমুক্ত সব্জি চাষ

Other

কিশোরগঞ্জে ভাসমান পদ্ধতিতে সবব্জি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বদ্ধ জলাশয়ে কচুরিপানার বেডে কম খরচে কীটনাশকমুক্ত এসব সব্জির ভালো ফলন হচ্ছে। অন্যান্য সব্জির তুলনা বাজার এর চাহিদা অনেক। সীমিত পরিসরে শুরু হলেও পুরো জেলায় ভাসমান সব্জি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কিশোরগঞ্জের কয়েকটি উপজেলায় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ভাসমান পানিতে বিশেষ পদ্ধতিতে নানা জাতের সব্জির আবাদ। কচুরিপানা দিয়ে ছোট ছোট বেড তৈরি করে চাষ হচ্ছে, লাউ, কুমড়া, ঢেড়স, বরবটি, লালশাক, ঝিঙ্গা, বরবটিসহ বিভিন্ন সব্জি।

আরও পড়ুন:


এসএসসি পরীক্ষা কবে থেকে তা জানা গেল

মাঝনদীতে ফেরিতে পানি ঢোকে, দ্রুত চালিয়ে তীরে যায় চালক

পুলিশ সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদল নেতা ‍গুলিবিদ্ধ, উভয় পক্ষের আহত ১৫

পাগলীর জন্ম নেওয়া সন্তানের পিতা এমপি বদি 


সার কিংবা কীটনাশক ছাড়াই বর্ষা মওসুমে প্রায় ৬ মাস এ পদ্ধতিতে সব্জির আবাদ করা যায়। অনান্য সব্জির তুলনায় ভাসমান বেডে চাষ করা এসব সব্জি স্বাস্থ্যসম্মত, সুস্বাদু।

ফলন বেশি হয় এবং বাজারে দাম পাওয়া যায় বেশি। যে কারণে দিন দিন কৃষকরা ভাসমান পদ্ধতিতে সব্জি আবাদে উৎসাহিত হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের সরকারি ভর্তুকির টাকায় বাড়ির পাশের নদী,খাল-বিল ও অনাবাদি বদ্ধ জলাশয়ে কুরিপানা দিয়ে কৃষকদের বেড তৈরিসহ বিনামূল্যে সব্জির বীজ ও নগদ টাকা দেওয়া হয়। বছরের প্রায় ৬ মাস চাষ করা যায় সব্জি। আর পানি শুকিয়ে গেলে কচুরিপানার বেড জৈব সার হিসেবে অনান্য ফসলে ব্যবহার করা যায়। প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে সব্জি চাষ শুরু হলেও পুরো জেলায় এটি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলা বিভাগের এ কর্মকর্তা।

কিশোরগঞ্জে বর্তমানে জেলা সদর, করিমগঞ্জ ও নিকলী উপজেলায় এই পদ্ধতিতে সব্জির আবাদ হচ্ছে।

news24bd.tv/তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর