কক্সবাজারের মহেশখালীতে কিশোরীকে হোটেলে তুলে মেলামেশার ভিডিও ধারণ করে পরে দুই বন্ধু মিলে দিনের পর দিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের অফিসপাড়া থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ভোররাতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন- অফিসপাড়ার মো. রফিকের ছেলে মো. আলমগীর (২২) ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনার মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে মো. আনোয়ার (২৬)।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই জানান, উপজেলার এক কিশোরীর (১৫) সঙ্গে ছয় মাস আগে পার্শ্ববর্তী অফিসপাড়ার মো. আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে ভ্রমণের কথা বলে কথিত প্রেমিক আলমগীর ওই কিশোরীকে গত ১১ অক্টোবর চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর বাজারে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা রাতযাপন করেন। সেদিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য কিশোরীর অজান্তে মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন আলমগীর।আরও পড়ুন:
নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ওসি-এসআইকে বরখাস্তের নির্দেশ
প্রেমিকাকে গলা কেটে ‘হত্যাকারী’ মনিরও মারা গেল
মাওলানা আজহারীর লন্ডন সফরের পক্ষে বিপক্ষে নানা তৎপরতা
প্রবাসীদের জন্য যে সুখবর দিল মালয়েশিয়া
পুলিশ জানায়, ঘটনার কয়েক দিন পর সেদিনের ভিডিও চিত্রটি আলমগীরের কথিত বন্ধু মো. আনোয়ারকে দেখায়।
‘গ্রেপ্তার দুজনের মানসিক ও শারীরিক চাপ সইতে না পেরে একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুরো ঘটনা তার মাকে খুলে বলেন। সর্বশেষ গত ২৬ অক্টোবর মহেশখালী থানায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে কথিত প্রেমিক আলমগীর ও আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ’
ওসি মো. আব্দুল হাই বলেন, কিশোরীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়টি খুবই গুরুত্বসহকারে দেখছি আমরা। আমাদের চাওয়া মেয়েরা যেন সুরক্ষিত থাকে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণের পরামর্শ দেন ওসি।
news24bd.tv/তৌহিদ