নির্বাচন কমিশনে হাজারেরও বেশি পাগলের আবেদন!

নির্বাচন কমিশনে হাজারেরও বেশি পাগলের আবেদন!

অনলাইন ডেস্ক

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাগলদের আবেদন পড়ছে। ইসির হিসাবে মূলত পাগল হলো তারা যারা ভোটার হওয়ার সময় ভুল করে বা অজ্ঞতাবশত, নিবন্ধন ফরম পূরণ করার সময় ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ অংশে টিক দিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে এসব নাগরিক বর্তমানে দেশের নানান ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ বা পাগল থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আসার জন্য ইসিতে আবেদন করছেন এসব নাগরিকরা।

ইসি সূত্রে এইসব তথ্য জানা গেছে।  

ইসি সূত্র জানায়, অন্যান্য পেশাজীবিদের স্ট্যাটাস পরিবর্তন সহজ হলেও বিড়ম্বনায় পড়েছেন পাগল স্ট্যাটাসধারীরা। কেননা, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট বা আদালত থেকে স্বীকৃতি ব্যতিত তাদের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করা হচ্ছে না।

সূত্র জানায়, এখ পর্যন্ত ‘ম্যাডনেস’ সমস্যার সমাধান চেয়ে মাঠপর্যায় থেকে কয়েক হাজার আবেদন ইসিতে এসেছে।

এখন পর্যন্ত কমবেশি পাঁচশ ম্যাডনেস সমস্যার সমাধানও করে দিয়েছে কমিশন।  

সরকার করোনার টিকা এনআইডি ভিত্তিতে দেওয়া শুরু করলে এই সমস্যায় পড়েন অনেকে। কেননা, যাদের স্ট্যাটাস পাগল, তাদের টিকা কার্ড হচ্ছে না। আর এর সমাধান পেতে ভূক্তভোগীতে ধরনা দিতে হচ্ছে নির্বাচন অফিসে।

ইসি’র মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রতিনিয়ত আবেদন আসছে। এসব নাগরিকদের এনআইডি দিয়ে সার্ভারে সার্চ করলে সেখানে ‘ম্যাডনেস’ দেখা যাচ্ছে।  

জানা যায়, সম্প্রতি ইসি জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইসিতে এমন একটি আবেদন পাঠিয়েছেন। সেখানে ভোটার তার আবেদনে লিখেছেন, আমার এনআইডিতে ভুলবশত ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ ফরম পূরণ করা হয়েছে। যার কারণে আমি এনআইডি সংক্রান্ত কোনো সেবা পাচ্ছি না।  

এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি কি বলতে পারি কে পাগল, আর কে পাগল নয়? এটা বলতে পারে একজন ডাক্তার বা আদালত। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সনদ বা স্বীকৃতি আনলে আমরা সেটা পরিবর্তন করে দিচ্ছি। এছাড়া অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় প্রমাণ সাপেক্ষে আমরা সংশোধন করে দিচ্ছি।

 


ভক্তের নগ্ন ছবির দেখার ইচ্ছে পুরণ করলেন পূজা হেগড়ে

পরকালের যে বিশ্বাসে মমির মুখে সোনার জিভ

টাচ ছাড়াই আনলক হবে আইফোন

কৃষকদের জঙ্গি আখ্যায়িত করলেন কঙ্গনা


 

এই বিষয়ে কথা হলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে গিয়ে নাগরিকরা এই ভুলটি করছেন। তারা ফরম পূরণ করার সময় সেটি ভালোভাবে দেখছেন না।

এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য ভোটার হওয়ার সময় সাবধানতার সংগে নাগরিকদের নিজে ফরম পূরণ করার অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।  

news24bd.tv/আলী