সাবওয়েতে যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন দেড় ঘণ্টা!

সাবওয়েতে যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন দেড় ঘণ্টা!

Other

রুজভেল্ট অ্যাভিনিউ-জ্যাকসন হাইটস স্টেশন থেকে এফ ট্রেন ছাড়বার পর স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। পরের স্টেশন কুইন্সব্রিজ! কিন্তু হঠাৎ থেমে গেল ট্রেন! এমনটা তো হয়েই থাকে সিগন্যালের ছোটখাট বিচ্যুতির জন্য! কিছুক্ষণ পরেই ছুটতে শুরু করে ট্রেন! এমনটাই ভেবে মোবাইল ফোনের পর্দায় চোখ রাখলাম! কিন্তু ফোন বা ইন্টারনেট কোনো সংযোগই নেই! কামরাভর্তি মানুষ! আমার ভাগ্য ভালো বলে বসবার জায়গা পেয়েছিলাম। ট্রেনড্রাইভারের কণ্ঠ ভেসে এল, বিদ্যুৎ সংযোগে বিভ্রাটের জন্য ট্রেন চলছে না।  

দ্রুত সংকট থেকে পরিত্রাণের চেষ্টা চলছে।

ধৈর্য ধারণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ দিলেন ট্রেনচালক! এ রকম অভিজ্ঞতা মাঝে মাঝেই হয়! কিন্তু দু চার মিনিটেই পরিত্রাণ ঘটে। আজ হয়তো একটু বেশি সময় লাগছে! আমি তাই ফোন থেকে বিভূতিভূষণের 'আদর্শ হিন্দু হোটেলে' মন দিলাম। কয়েক দিন আগে বইটি ডাউনলোড করে রেখেছিলাম পড়ার জন্য! বেশ কয়েক পৃষ্ঠা পার হবার পর ট্রেন ড্রাইভার ধৈর্যেয় প্রশংসা করলেন। কথা থেকে মনে হলো পরিত্রাণ সহজে ঘটছে না! কাজে যোগ দেয়ার নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাচ্ছে! জানাতেও পারছি না যে বিকল্প ব্যবস্থা করবেন কর্তৃপক্ষ! আমি কী আর করি, বিভূতিভূষণের সঙ্গ লাভেই মনস্থ করলাম!

সকালের এই সময়টায় যাত্রীদের প্রত্যেরই কাজে যাওয়ার খুব তাড়া থাকে এ সময়! প্রত্যেকের চেহারায় সেই চঞ্চলতার ছাপ! কিন্তু পরিস্থিতি অনুধাবন করে সবাই শান্ত রইলেন।

কামরাভর্তি মানুষের একজনকেও কোনো অশোভন আচরণ করতে দেখলাম না! যা হোক, ঘণ্টা দেড়েক পরে কোনো রকমে ট্রেন চালু করা হলো, পরের স্টেশনে পৌঁছে দেখলাম এফ ট্রেনের জন্য মানুষের ভিড়, ঘোষণা এলো, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য লাইনটি বন্ধ থাকবে। আমি দ্রুত আমার কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি জানিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় পৌঁছলাম কর্মস্থলে।  

Sub way, train

এখানে কিছু অসুবিধা ছিল, বিলম্বিত বিকল্প ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছিল। যা হোক এখানেও সহানুভূতি আমার জন্য! পরিস্থিতির ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্ত হয়ে কাজে যোগ দিয়েছি নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা পরে!

লেখাটি  আহমাদ মাযহার-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv/আলী