রেল টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি, স্টেশনে মানুষের ক্ষোভ

রেল টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি, স্টেশনে মানুষের ক্ষোভ

রেল টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি, স্টেশনে মানুষের ক্ষোভ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ঈদ যাত্রা ট্রেনের টিকিট যাত্রীদের প্রথম পছন্দ। ঈদে দূর পাল্লার যাত্রীদের প্রতিবারের মতো এবারও অগ্রিম টিকেট বিক্রি করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের কাছে শুক্রবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় দিনের মতো দেয়া হচ্ছে ১২ জুনের ট্রেনের অগ্রীম টিকিট।

শনিবার মধ্য রাত থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছেন টিকিট প্রত্যাশী মানুষ। অনেকে ভ্যাপসা গরমে টিকিট বিক্রির ধীরগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক টিকিটপ্রত্যাশী সেখানে জড়ো হয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাওয়ার জন্য তারা সারি ধরে অপেক্ষা করছেন।

সেই সারি টিকিট বিক্রির কাউন্টার থেকে অনেক দূর পর্যন্ত চলে গেছে।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল আটটা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ২৩টি কাউন্টারে একসঙ্গে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কাউন্টার শুধু নারীদের জন্য রাখা হয়েছে।  

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪ জুন ১৩ জুনের, ৫ জুন পাওয়া যাবে ১৪ জুনের এবং সর্বশেষ ৬ জুন দেয়া হবে ১৫ জুনের টিকিট।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশ চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন ২৩ হাজার ৫১৪টি করে টিকিট সরবরাহ করা হচ্ছে। এ টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে সরবরাহ ছাড়াও ৫ শতাংশ রেলের কর্মচারী ও ৫ শতাংশ ভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ। বর্তমানে যে পরিমাণ টিকিট প্রতিদিন দেয়া হচ্ছে এ সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়বে। ১৩-১৫ জুনের জন্য ৪-৬ জুন টিকিট বিক্রি করা হবে। ওই সময়ে মেইল, এক্সপ্রেস ও লোকাল মিলে প্রতিদিন ৬০ হাজার টিকিট দেয়া হবে।

অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই শনিবার রাতে কমলাপুরে এসেছেন। টিকিট যাতে কোনোভাবেই হাতছাড়া না হয়, সে জন্য তারা রাতভর স্টেশনে অবস্থান করেছেন। টিকিট বিক্রির অনেক আগেই তারা কাউন্টারের সামনে সারি ধরেছেন।


ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের এক যাত্রী জানান। তার দুর্ভোগ অবশ্য বেশি। জানালেন, মা-বাবার সঙ্গে রাজশাহী যাবেন তিনি। সকাল পৌনে ছয়টার দিকে স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।

 


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর