গাইবান্ধায় মানুষকে কামড়ানো সেই ‘অচেনা’ প্রাণীটি শনাক্ত

গাইবান্ধায় মানুষকে কামড়ানো সেই ‘অচেনা’ প্রাণীটি শনাক্ত

অনলাইন ডেস্ক

গত দেড়মাস ধরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ির ছয়টি গ্রামে যে অচেনা প্রাণীর হামলায় হতাহতসহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেই প্রাণীটিকে শনাক্ত করেছেন ঢাকা থেকে যাওয়া বন বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল। তারা বলছে মানুষকে হামলা করা সেই প্রাণীটি ‘খেকশিয়াল’।  

বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তিন সদস্যের দলটির সদস্য বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মো. কামরুদ্দীন রাশেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মো. কামরুদ্দীন রাশেদ বলেন, মঙ্গলবার ও বুধবার আমরা এসব এলাকায় সরেজমিনে কাজ করেছি।

নিহতের পরিবার ও আহতের সঙ্গে একান্তভাবে কথা বলেছি। তাছাড়া স্থানীয়দের সাথে কথা বলাসহ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। পর্যবেক্ষণের সময় আমরা আক্রান্তদের ধরন, সময়, প্রাণীর আকার-আকৃতি, আচঁড়ের দাগ ও কামড়ের দাগের বিষয়গুলো নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছি। আমরা অনেকটা জায়গা জুড়ে বিভিন্ন প্রাণীর পায়ের ছাপ সংগ্রহ করেছি।

তিনি আরও বলেন, এসব এলাকায় ছোট ছোট শিয়াল ও খেকশিয়ালের অবাধ বিচরণ রয়েছে। রয়েছে এসব প্রাণীর আধিক্যও। রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণ দলের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, এটা ছোট প্রকৃতির শিয়াল বা খেকশিয়াল।

বন বিভাগের বিশেষজ্ঞ দলের এই সদস্য বলেন, ‘পর্যবেক্ষণকালে আমরা এই এলাকায় অধিক সংখ্যক শিয়াল জাতীয় প্রাণীর উপস্থিতি পেয়েছি। সেখানকার বেশিরভাগ শিয়ালকে আমরা স্বাভাবিক থাকতে দেখেছি। খুব স্বল্প সংখ্যক শিয়াল জলাতঙ্ক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এই ঘটনা ঘটছে। ’

হামলার শিকার জামে মসজিদের ইমাম ফেরদৌস সরকার ঘাস কাটতে গিয়ে ওই প্রাণী তাকে কামড় দেয়। পরে দুই সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ বিষয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে তার সুচিকিৎসা হয়নি। তাছাড়া চিকিৎসায়ও অনেক বিলম্ব হয়েছে। অথবা চিকিৎসায় কিছু ভুলের কারণে তিনি মারা গেছেন।

আরও পড়ুন


কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ১৭ আসামি ৫ দিন করে রিমান্ডে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

মাহির দ্বিতীয় স্বামী বললেন আমরা পরকীয়া করে বিয়ে করিনি

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মাওলানা আজহারীকে নিয়ে কী আলোচনা হল?


বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ দলে আরও ছিলেন, মাহবুব-ই-খোদা জুয়েল ও গাজী সাইফুল তারিক। বিশেষজ্ঞ দলটির সদস্য মাহবুব-এ-খোদা বলেন, ‘এটি শিয়ালের প্রজনন সময়। এই সময় অনেক পশু-পাখির গায়ের রঙ কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। যা এখানকার শিয়ালের ক্ষেত্রেও হয়েছে। এজন্য লোকজন আগের দেখা শিয়াল আর এখনকার শিয়ালের মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারছেন না। ’ 

রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, আতঙ্কিত মানুষের মধ্যে আমরা কাউন্সিলিং করবো যাতে তাদের ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়। এলাকার লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে যাতে তারা আতঙ্কিত হয়ে সব প্রাণীকে মেরে না ফেলে।

news24bd.tv এসএম