শেখপুরা জামে মসজিদ। এই মসজিদটির পাঠশালাতেই ১৮৩০ সালে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখাপড়ার হাতেখড়ি। এই মসজিদের ইমাম মৌলভী লুৎফুল হক কবির প্রথম শিক্ষাগুরু। তিনি কবিকে বাংলা ও ফরাসি শিখিয়েছেন।
সে সময় মক্তব ভিত্তিক যে পাঠশালা ছিল, শেরপুরা জামে মসজিদটি তার অন্যতম। যা এখনো ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।যশোরের কেশবপুর উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে মধু কবির জন্মস্থান সাগরদাড়ী যাবার পথে শেখপুরা গ্রামে এই মসজিদটি অবস্থিত। ঐতিহাসিক মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট।
১৬০০ খ্রিস্টাব্দে মৌলভী সৈয়দ বিরাজতুল্লাহ এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০০ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটি সংরক্ষণ করে। ইট-সুরকির গাঁথুনির এই মসজিদে স্থানীয় মুসল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। ধর্মীয় দিক দিয়ে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মধুসূদনের প্রথম পাঠশালা হিসেবে এই মসজিদ ঐতিহাসিক। মোঘল আমলের স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদে।
শেখপুরা জামে মসজিদের খতিব কাজী রবিউল ইসলাম জানান, প্রাচীন আমল থেকে এই মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে। এখানে প্রায় ১শ' বাচ্চা কোরআন শিক্ষা নেয়। এখানে অনেক দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসে দেখতে ও নামাজ আদায় করতে।
স্থানীয় সাজ্জাদ হোসেন, আমিনুর রহমান ও আব্দুস সালাম জানান, ঐতিহাসিক এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে তাদের ভালো লাগে। এই মসজিদটি বর্তমানে দেওয়ালে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ইট-সুরকি খসে পড়ছে। যা সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। তারা এমসজিদটি সংস্কারের দাবি করেছেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রিপন/তৌহিদ)