আপিল শুনানির আগেই আসামির মৃত্যুদণ্ডের খবরে আলোচনা

আপিল শুনানির আগেই আসামির মৃত্যুদণ্ডের খবরে আলোচনা

Other

আপিল শুনানির আগেই চুয়াডাঙ্গায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংবাদে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে আইন অঙ্গনে। আইনের শাসনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেউ কেউ।

তবে আইনমন্ত্রী বলছেন, যথযথ নিয়ম মেনেই তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। একই দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও।

আর অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, আসামি মকিম ও ঝড়ুর জেল আপিল করলেও শুনানির সময় তার আইনজীবীর করা আপিলটি নজরে আসেনি। আসামিপক্ষের আপিল আবেদন নিষ্পত্তি ছাড়াই চুয়াডাঙ্গায় দুই আসামি মকিম ও ঝড়ুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দফায় দফায় সাংবাদ সম্মেলন করেন রাষ্ট্রের দুই মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল।

নিয়ম অনুযায়ী কোনো মামলায় বিচারিক আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিলে তা অনুমোদনের জন্য উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়।

একই সাথে আসামি কারাগার থেকেও রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল করে থাকেন।

অপরদিকে আসামি নিজেও আইজীবী নিয়োগ দিয়ে আপিল করতে পারেন।

আইনমন্ত্রী বলছেন, এসব আবেদন একসাথে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই মামলার ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটেছে। যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

তবে যথাযথ নিয়ম মেনেই তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে বলে দাবি আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

এদিকে ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ৪ বছর পর এসে আসামিপক্ষের আইনজীবীর করা আপিল আবেদন কার্যতালিকায় আসার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল  এম আমিন উদ্দীন।

তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের ফলে এখন লিভ টু আপিল শুনানি হয় না, সরাসরি আপিল শুনানি হয়। তবে পদ্ধতিগত কারণে আসামির আপিল আবেদনটি নজরে আসেনি।

মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে আপিল বিভাগে নিয়মিত আপিল করেছিলেন দণ্ডিত ওই দুই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: 


তেলের দাম বৃদ্ধি, চট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধ

৭৩-এ শেষ বাংলাদেশ

এবারের পাকিস্তানকে দেখে শোয়েবের ‌‘ভয়’


তবে তাদের আইনজীবী জানান, এতোদিনেও আপিল আবেদনটি কার্যতালিকায় আসেনি। কিন্তু কোনো কিছু জানার আগেই তাদের ফাঁসি কার্যকর করায় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।

news24bd.tv/ তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর