ডিজেলের দাম বাড়ার কারণ জানালেন তথ্যমন্ত্রী

ডিজেলের দাম বাড়ার কারণ জানালেন তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

ডিজেলের দাম বাড়ানোর পরও দেশে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে কম। ডিজেলের দাম বাড়ানোর অজুহাতে অন্য পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

 আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

 লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

বলেন, সরকার ধারাবাহিকভাবে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। দেশে দাম কম থাকায় বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই পাচার ঠেকাতে দাম বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।

মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সালে দেশে ডিজেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ৬৮ টাকা, পরে ২০১৬ সালে ৩ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়। এরপর সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়েনি।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ডিজেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জুনে লিটারপ্রতি ২.৯৭ টাকা, জুলাইয়ে ৩.৭০ টাকা, আগস্টে ১.৫৮ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৫.৬২ টাকা ও অক্টোবরে ১৩.০১ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। এতে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ডিজেলের জন্য বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। একই সঙ্গে প্রতি ডলারের মূল্য ২০১৬ সালে ৭৯ টাকা থেকে চলতি মাসে বেড়ে ৮৫.৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, দাম কমার পরও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতি লিটার ডিজেল ৯০ রুপি বা ১০৪ টাকা, দিল্লিতে ৯৮.৪২ রুপি বা ১১৪ টাকা। নেপালে তা ১১২.৩৯ রুপি বা ৮১ টাকা। প্রতিবেশী এসব দেশের চেয়ে বাংলাদেশে দাম কম রয়েছে। এ কারণে চোরাকারবারিরা এখান থেকে প্রতিবেশী দেশে ডিজেল পাচার করছে বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, সাধারণ মানুষের যেন ভোগান্তি না হয় এবং এই অজুহাতে অন্য পণ্যের যেন মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে, সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে, অন্যথায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

আরও পড়ুন:


মাদারীপুরে পরিবহন ধর্মঘট

হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ

নিজ বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ

news24bd.tv/ তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর