গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক নববধূকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও প্রভাবশালীর চাপে মুখ খোলেননি নিহতের স্বজনরা। নিহত ওই নবধুর নাম সুমাইয়া। সে কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।
স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় কাপাসিয়া থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নিহতের বড় ভাই রাসেল এ প্রতিবেদককে বিষয়টি জানান।
জানা গেছে, কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরি বিল্লাল হোসেনের ছোট মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সাথে একই এলাকার মোল্লা বাড়ির মোশারফ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান মুরাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
নিহতের বড় ভাই রাসেল জানান, গত মঙ্গলবার রাতে আমার ছোট বোন সুমাইয়াকে হাত-পা বেঁধে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমরা এমন খবর পেয়ে সুমাইয়ার স্বামীর বাড়িতে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি তার শরীরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। তাৎক্ষণিক যে যেভাবে পেরেছি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। পরে দগ্ধ অবস্থায় সুমাইয়াকে এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাই। হাসপাতালে ড্রেসিং করার কিছুক্ষণ পরই আমার বোন সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর থেকে কয়েক বার থানায় গিয়েছি অভিযোগ দিতে। কিন্তু থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো আমাদেরকে অকথ্য গালাগাল করে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা এ সংক্রান্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন
বসুন্ধরার এমডিকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টা, পটিয়ার যুবক আটক
news24bd.tv এসএম