পবিত্র কুরআনের 'ক্যালিগ্রাফি' অনুলিপি তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের মেয়ে ফাতিমা সাহাবা। মাত্র ১৪ মাসেই এই কাজ শেষ করেন তিনি। খবর বিবিসির।
ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকা ও ক্যালিগ্রাফির প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক ছিল।
ক্লাস নাইনে পড়ার সময়েই তিনি লিপিবিদ্যা বা ক্যালিগ্রাফির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে থাকেন। গত বছর তিনি পবিত্র কুরআনের একটি অধ্যায় নকল করে তার বাবা-মাকে দেখালে তারা খুবই খুশি হন। তারপর ফাতিমা তাদেরকে জানান তিনি পুরো কুরআনের অনুলিপি তৈরি করতে চান।ফাতিমা বলেন, "আমার খুব শখ ছিল ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করে আমার প্রিয় কোরআনের নকল তৈরি করবো।
ফাতিমা সাহাবা তার পরিবারের সাথে ওমানে থাকতেন। এক সময়ে তার পরিবার ভারতে ফিরে আসে। কান্নুর জেলার কোডাপারমবা শহরে তাদের বাস। এখন কান্নুরের কলেজেই ইন্টিরিয়ার ডিজাইন পড়ছেন তিনি।
পবিত্র কুরআনের ক্যালিগ্রাফির কাজে হাত দেয়ার আগে ফাতিমা সাহাবার বাবা একজন মওলানার সাথে কথা বলেন। তিনি জানতে চান, ফাতিমা
পবিত্র কুরআনের অনুলিপি তৈরি করতে পারেন কিনা। এনিয়ে কোন ধর্মীয় বিধিনিষেধ না থাকায় ফাতিমাকে অনুমতি দেয়া হয়।
ফাতিমা বলেন, "প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে আমি একটু বিশ্রাম নিতাম। তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে আমি কোরআন নকলের কাজে হাত দিতাম। গত বছর অগাস্ট মাসে আমি ক্যালিগ্রাফির কাজ শুরু করি এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমি কোরআন নকলের কাজ শেষ করি। "
ফাতিমা জানতেন তিনি যে কাজে হাত দিয়েছেন, সেটি কত বড় এক কাজ। তাই কাজটা তিনি যেনতেনভাবে শেষ করতে চাননি। তিনি বলেন, "আমার ভয় ছিল যে আমি হয়তো কোরআন নকলের কাজে কোন একটা ভুল করে ফেলবো। ছবি আঁকার সময় আমার মা তাই আমার পাশে বসে থাকতেন, এবং কোথাও কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখলে সেটা ধরিয়ে দিতেন। "
যাতে কোন ধরনের ভুল না হয় সে জন্য ফাতিমা প্রথমে পেন্সিল দিয়ে ক্যালিগ্রাফের নকশা তৈরি করতেন। পবিত্র কুরআনের অনুলিপি তৈরি করতে তিনি মোট ৬০৪টি পাতা তৈরি করেন।
বড় হয়ে ক্যালিগ্রাফির শিক্ষক হতে চান ফাতিমা সাহাবা। এখন পড়াশোনা আর ক্যালিগ্রাফিতেই বেশি সময় ব্যয় করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
নোয়াখালী বিভাগ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
news24bd.tv/ নকিব