তেলের দাম বাড়ানোর পদ্ধতি ভুল: বিশেষজ্ঞ মত

Other

আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া দরের কারণে গত পাঁচ মাসে জ্বালানী তেলে ১১শ ৪৭ কোটি টাকারও বেশি লোকসান দিয়েছে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, বিপিসি। যার কারণে এবার বাধ্য হয়েই ডিজেল ও কেরোসিনের দর বাড়িয়ে লিটার ৮০ টাকা করা হয়েছে।  

দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে জ্বালানী বিশেষজ্ঞদের কোনো প্রশ্ন না থাকলেও বাড়ানোর পদ্ধতিটিকে ভুল বলছেন তারা। আর বিদ্যুৎ জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে, বাংলাদেশেও কমানো হবে।

 

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ১শ ডলারের কাছাকাছি। মাস ছয়েক আগেও যা ছিলো ৭০ ডলার। প্রায় দু-বছর মহামারির স্থবিরতায় আন্তর্জাতিক বিশ্বে আবারো বেড়েছে জ্বালানী তেলের দাম।

দেশে ব্যবহৃত জ্বালানীর ৬৫ শতাংশই ডিজেল।

যা সবশেষ বিপিসি কিনেছে প্রতি ব্যারেল ৯৭ ডলারে। সে হিসেবে এক লিটারের পেছনে সবমমিলিয়ে ব্যয় দাড়িয়েছে ৭৮ টাকার উপরে। কিন্তু ৬৫ টাকায় বিক্রি করায় লোকসান যাচ্ছে ১৩ টাকার বেশি। আর বর্তমানে প্রতিদিন ১২শ টন হারে ডিজেল বিক্রি হওয়ায়, কেবল ওই চালানের পেছনেই বিপিসি লোকসান গুনছে ১৯ কোটি টাকার বেশি। বিপিসি বলছে, গেল পাঁচ বছর তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে ১১শ ৪৭ কোটি টাকা।

এমন বাস্তবতায় ৩ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৮০ টাকা।

ভারতে ১ লিটার ডিজেল যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা বাংলাদেশের চেয়ে এখনো ৪৪ টাকা বেশি। তেল পাচারের শঙ্কা থেকেই দাম বাড়ানো হয়েছে বলা জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী।

জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধিতে পণ্যের বাজারে প্রভাব বাড়ায় কৃষকদের সেচখাতে ভর্তুকির চিন্তা করছে বলেও জানায় বিদ্যুৎ জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী।

দেশে কেরোসিনের ব্যবহার কম হলেও ভেজালরোধে সমান করা হয়েছে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য।

আরও পড়ুন


দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘটেও ভোগান্তিতে মানুষ, গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া

মারজুক রাসেল 'গেইল' হয়ে নিয়ে আসছে 'টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ'


news24bd.tv/ কামরুল