বিভিন্ন স্থানে খুন সহিংসতা, আরও দুইজন নিহত

বিভিন্ন স্থানে খুন সহিংসতা, আরও দুইজন নিহত

অনলাইন ডেস্ক

গতকাল শনিবারও ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আগুনসহ হাঙ্গামার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া পটুয়াখালী ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুজন নিহত হয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুজ্জামান মজনু মোল্লার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালক মাসুদ ব্যাপারীকে (২৫) পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে বড় বিঘাই গ্রামের গনি সিকদারের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল ভোরে রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে রাখা মরদেহটি পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। নিহত যুবক মাসুদ ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল লতিফ ব্যাপারীর ছেলে। বড় বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অহিদুজ্জামান মজনু মোল্লা বলেন, ‘গত রাতে আমিসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী পটুয়াখালী শহর থেকে বড় বিঘাই গ্রামের আমার নিজ বাড়িতে আসি।

পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছত্তার হাওলাদার এবং রাহাত মাঝিকে মাসুদ তাদের বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সকালে মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাকে ও পুলিশকে ফোন করে স্থানীয়রা। ওসিসহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে তদন্ত করেছেন।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শামিম কুদ্দুছ ভূঁইয়া জানান, মাসুদের গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তার মাথায়ও রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন আছে।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মুড়াপাড়ায় গতকাল রাতে গুলিতে আবদুর রশিদ মোল্লা নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দি¦তায় হওয়া মেম্বার আওলাদ হোসেনের শ্যালক। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা গতরাত ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আহত সাব্বির নামে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রূপগঞ্জ থানার ওসি আবুল ফয়সল মোহাম্মদ ছায়েদ জানান, ‘ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই গোলাগুলির খবর পেয়েছি।

অন্যদিকে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউপি নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন জমাদারের সমর্থকদের সঙ্গে গতকাল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামরুল হাসান নুর মোহাম্মদ মোল্লার সমর্থকদের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।  

আরও পড়ুন:


চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা, গ্রেফতার বাসচালক


শরীয়তপুর সদরের রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ঢালী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হন ২০ জন। শুক্রবার রাতে উপজেলার সুবচনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

news24bd.tv রিমু