নির্মাণাধীন ভবনের নিচে বোমা সদৃশ্য বস্তু রেখে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

নির্মাণাধীন ভবনের নিচে বোমা সদৃশ্য বস্তু রেখে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

Other

দিনভর আতঙ্কের পর জানা গেল সেটি বোমা ছিল না। ছিল বোমা সাদৃশ্য বস্তু। মাদারীপুর শহরের পৌরসভা সংলগ্ন বটতলা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকার নির্মাণাধীণ চারতলা ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে বোমা রেখে বাড়ির মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

দিনভর আতঙ্কের পরে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানা গেছে সেটি বোমা নয়। সেটি ছিল বোমা সদৃশ্য বস্তু।  

রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান মিয়া। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে র‌্যাব ও পুলিশের দুটি বোমা বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে।

সেখানে বোমা পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে বোমা সাদৃশ্য বস্তু।

আরও পড়ুন:


অসুস্থ হয়ে পড়লেন যাত্রী, জরুরি অবতরণে ২১ যাত্রীর পলায়ন


স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহরের পৌরসভার সামনে অবসর প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মস্তফা কামাল চারতলা বাড়ি নির্মাণ করছেন। ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে রোববার সকালে বোমা রেখে তার মোবাইল ফোনে ফোন করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা।  

এ ঘটনা বাড়ির মালিক পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, মাদারীপুর র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মাদ সাদেকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। আতঙ্কে ছিল এলাকাবাসী।  

মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, পুলিশের এবং র‌্যাবের দুটি বোমা বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে এসেছে। সাদৃশ্য বস্তুটি বোমা কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে বোমা তৈরির ব্যাটারি ও সার্কিট ছিল। কোন বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল না।  

তিনি আরও বলেন, নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে কে বা কারা বোমা সদৃশ বস্তু রেখে বাড়ির মালিকের কাছে টাকা দাবি করে। বিষয়টি বাড়ির মালিক আমাদের জানালে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। কে বা কারা বস্তুটি রেখেছে এবং টাকা দাবি করেছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। যেই নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে সেই নম্বরটির সূত্র ধরেই তদন্ত চলছে।

news24bd.tv/ কামরুল