বসুন্ধরা এমডিকে হত্যাচেষ্টা: ইমাম-শিক্ষকসহ পেশাজীবীদের প্রতিবাদ

বসুন্ধরা এমডিকে হত্যাচেষ্টা: ইমাম-শিক্ষকসহ পেশাজীবীদের প্রতিবাদ

অনলাইন ডেস্ক

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে হত্যার পরিকল্পনার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন হয়েছে।

ওই সময় মানববন্ধনের খবর পেয়ে সেখানে একাত্মতা প্রকাশ করে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের মাধ্যমে উপকার পাওয়া বেশ কয়েকটি পরিবার।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার মোহতামিম, ইমাম, আইনজীবী, কলেজছাত্র, ব্যবসায়ী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক,  জাতীয় ফুটবলার ও দুর্ঘটনায় সহযোগিতাপ্রাপ্ত পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার দুপুরে শহরের প্রাণকেন্দ্র নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পেশাজীবী শ্রেণির মানুষ ও সচেতন নাগরিক সমাজ ব্যানারে ওই মানববন্ধন হয়।

সেখানে এমডিকে হত্যার নির্দেশদাতা হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কাবিল মিয়া তার পরিবারসহ হাজির হয়ে বলেন, এই বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ ও কালের কণ্ঠে আমার সড়ক দুর্ঘটনায় খবর প্রকাশ পায়। পরে তা দেখে মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে অটোরিকশা দিয়েছেন। ওই অটোরিকশা পেয়ে আজ আমার পুরো পরিবার সাবলম্বী হয়েছি।

তাই পরো পরিবার নিয়ে আসছি। বসুন্ধরা গ্রুপ তার মালিকপক্ষের প্রতিষ্ঠিত এসব প্রতিষ্ঠান মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তাই তাদেরকে যারা হত্যার চেষ্টা করেছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।

মানববন্ধনে থাকা জাতীয় দলের ফুটবলার আরিফ হাওলাদার বলেন, করোনাকালে আমি বেকার হয়ে মিস্ত্রীর কাজ করছিলাম। বাংলানিউজে নিউজ হওয়ার পরে আমি ফুটবল টিম পাই। মাঠে ফিরে যেতে সক্ষম হই। আজ আমাকে নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রচারণার কারণে আমি পুরো পরিবার নিয়ে একটি বাড়ি পর্যন্ত পেয়েছি। যারা দেশের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে, সেই বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে হত্যার চেষ্টার মাধ্যমে সহযোগিতার হাতকে প্রতিরোধ করতে চেয়েছে। সেই ঘটনার পরিকল্পনাকারী হিসেবে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, তার ছেলে নাজমুল করিম ওরফে শারুন চৌধুরীসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লার অফিস ওমর (রাদি) মাদ্রাসার মোহতামিম ও ইমাম আবু সাঈদ, ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, আইনজীবী লতিফুর মল্লিক, গার্মেন্ট ফেবরিক ব্যবসায়ী নিজামউদ্দিন, কাশীপুরের ব্যবসায়ী তালহা ইসলাম, মাদ্রাসার হাফেজ আলিমউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের ছাত্র আবদুল্লাহ নোমান, মোজাম্মেল হোসেন খান, কামাল ইসলাম, রফিকুল্লাহসহ  বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির মানুষ।

প্রসঙ্গত, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী জুমার নামাজের সময় গুলি করে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাইফুল ইসলাম সাদ (২৩) নামে চট্টগ্রামের পটিয়ার এক যুবককে আটক করেছে রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাউতুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে তাকে আটক করা হয়। অভিযোগটি তদন্ত করছেন ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও তদন্ত কর্মকর্তা হাসান মাসুদ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ জানিয়েছে, পবিত্র জুমার নামাজ চলাকালে সায়েম সোবহান আনভীরকে গুলি করে হত্যার প্রস্তুতি ছিল তার। পটিয়ার সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং তার ছেলে নাজমুল করিম ওরফে শারুন চৌধুরীর নির্দেশে হত্যার এ পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন তিনি। এর আগে, দুধের মধ্যে বিষ মিশিয়ে এবং ছুরিকাঘাতে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল সংঘবদ্ধ চক্রটি। তবে একাধিকবার চেষ্টা করেও সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় তারা।

আরও পড়ুন:


ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ধর্মঘটের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবস্থা নেবেন: কাদের

১০ ও ১২ নভেম্বর বিক্ষোভের ডাক বিএনপির

গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, ৩ স্কুলছাত্র নিহত

আ. লীগ নেতার পকেটে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল হাত!


news24bd.tv/ তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর