দুর্বৃত্তের গুলিতে মেম্বার প্রার্থীর বড় ভাই ও জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতির মৃত্যুর পর জানাজা শেষ হবার ৫ ঘণ্টার মাথায় আরেক ইউপি সদস্য প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ রেজাউল করিমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউপির তোতকখালীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন ইউপি সদস্য প্রার্থী রেজাউল করিম।
গুলিবিদ্ধ প্রার্থী রেজা তোতকখালী এলাকার সাবেক মেম্বার আবুল কালামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অন্যদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যা থেকে এলাকার পাড়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড তোতকখালীর মেম্বার প্রার্থী রেজাউল করিম। রাত নয়টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ রেজাউল করিমকে এলাকার লোকজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ছরা গুলির অনেক স্প্রিন্টার তার দুই উরুর পেছনে এবং পায়ের বিভিন্ন অংশে বিদ্ধ হয়েছে।
গুলির ঘটনাকালে জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন নেতৃত্ববৃন্দ ঘটনাস্থলের একটু দূরে অবস্থান করছিলেন। পিএমখালী ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সিরাজুল মোস্তফার পক্ষে পথসভা করতেই সকলে সেখানে যান। এসময় এমন গুলির ঘটনা সবাইকে আতংকিত করেছে।
স্থানীয়দের মতে, তোতকখালী ওয়ার্ডের তিন মেম্বার প্রার্থীই একই পরিবারের চাচাতো জেঠাতো ভাই। তাদের মধ্যে আগে থেকে পারিবারিক বিরোধ প্রকট।
আরও পড়ুন:
তারেক বিলাসী জীবনের টাকা কোথায় পায়, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন একাত্তর টিভির শাকিল আহমেদ
নির্ধারণ হলো লঞ্চের সর্বনিম্ন ভাড়া
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনার ক্লু বের করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ঝিলংজা ইউনিয়নে বিসিক ও লিংকরোড় এলাকার মেম্বার প্রার্থী ও বর্তমান মেম্বার কুদরত উল্লাহ সিকদার ও তার বড় ভাই জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার কর্মী-সমর্থক নিয়ে অফিসে আলোচনা করার সময় দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন থাকার দুদিনের মাথায় মারা যান জহিরুল ইসলাম। তাকে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে দাফন করা হয়। এর ৪ ঘণ্টার মাথায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন পিএমখালীতে গুলির ঘটনায় আতংক বিরাজ করছে সর্বত্র।
news24bd.tv/আলী