মহান আল্লাহর দয়া, ক্ষমা, রহমত ও অনুগ্রহ প্রভৃতি সর্বজনবিদিত। তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং তাঁর কাছে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সব মানুষ সমান ভালোবাসার পাত্র এবং সবার প্রতি তিনি সমানভাবে ক্ষমাশীল। মানুষ একান্তভাবেই আল্লাহর প্রিয় ও শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে ঘোষিত। তাদের মধ্যে আল্লাহ তাঁর মুমিন ও বিশ্বস্ত বান্দাদের ভালোবাসেন।
আল্লাহর কাছে ক্ষমা লাভের জন্য প্রিয় নবী (সা.)-এর আনুগত্য ও অনুসরণ অপরিহার্য। এর কোনো বিকল্প নেই। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বলো, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো। তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন ও তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৩১)।
ক্ষমা প্রার্থনা অন্যতম ইবাদত। তবে এ ক্ষমা প্রার্থনা অবশ্যই অকৃত্রিম হতে হবে। যারা ক্ষমা প্রার্থনায় ও জীবনের কর্মকাণ্ডে আল্লাহর পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হবে তারাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাবে। আল্লাহ বলেন, ‘নভোমণ্ডল ও ভূখণ্ডের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল পরম মেহেরবান। ’ (সুরা ফাতাহ, আয়াত : ১৪)
এ ক্ষমা আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ও করুণার বহিঃপ্রকাশ। যা সরাসরি জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে বাঁচার মাধ্যম। ক্ষমাপ্রাপ্ত ও ক্ষমাবঞ্চিত উভয় দলের পরিণতির বর্ণনা দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন, ‘যারা ভাগ্যবান (ক্ষমাপ্রাপ্ত) তারা থাকবে জান্নাতে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে তত দিন পর্যন্ত, যত দিন আকাশ ও পৃথিবী থাকবে, যদি না তোমার রব অন্যরূপ ইচ্ছা করেন। এ এক নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। ’ (সুরা হুদ, আয়াত : ৮)
আরও পড়ুন:
তারেক বিলাসী জীবনের টাকা কোথায় পায়, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
যারা ক্ষমাবহির্ভূত তাদের সম্পর্কেও মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যারা হতভাগা হবে তারা জাহান্নামে থাকবে। সেখানে তারা চিৎকার ও আর্তনাদ করবে। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, যত দিন আসমান ও জমিন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার রব যদি অন্য কিছু চান। নিশ্চয়ই তোমার রব যা চান তা-ই করে থাকেন। ’ (সুরা হুদ, আয়াত : ১০৬-১০৭)
news24bd.tv রিমু