আমি আজ পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠানে আচরণগত সৌজন্যর চূড়ান্ত অভাব পেয়েছি তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দারওয়ান থেকে শুরু করে প্রধান শিক্ষক পর্যন্ত এই অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যত নামী তার আচরণের রুক্ষতা তত বেশি।
এই অভিজ্ঞতা আমার বিগত দশ বছরের, একজন ছাত্রের অভিভাবক হিসেবে।
স্কুলে গেলে নিজেকে মনে হয় একজন পুত্রদায়গ্রস্ত পিতা। এজন্য পারতপক্ষে ছেলের স্কুলে আমি যাই না।আজ গিয়েছিলাম নতুন একটি স্কুলে। প্রধান শিক্ষকের দরজায় দাঁড়িয়ে বললাম ' আসতে পারি?' উনি আসতেও বলেন নি।
আমাদের সময় বাবা মায়েরা যখন স্কুলে যেতেন শিক্ষকরা তাদের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে বসাতেন। স্কুলের বাকি ছাত্রদের মধ্যেও চাঞ্চল্য তৈরি হত "উজ্জ্বলের আব্বা আসছে। " আব্বা মাঝে মাঝে স্যারদের জন্য কেক বিস্কুট ফল কিনে নিয়ে যেতেন। স্যারেরা চা আনাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়তেন। কেউ আবার ভাববেন না আমি চা খেতে চেয়েছি। ওই আশা আমি করিনা।
বোধ হয় ঢাকা শহরের রীতিই এটা। প্রতিটি অভিভাবকই এখানে সন্তানদায়গ্রস্ত। মন ছোট করে এখানে ঢুকতে হয়। আমি সম্মান পেলাম না সেটা হয়ত সামান্য বিষয়।
কিন্তু আমার আশংকা হলো আমাদের ছেলে মেয়েরা কি শিখছে? এই যে আমাদের অনেকের ছেলে মেয়েরাই সামাজিক সৌজন্যর অভাব ও কাউকে রিসিভ করার ক্ষেত্রে জড়তা দেখায় এটা কি এইসব স্কুল থেকেই শেখা?
আরও পড়ুন
বসুন্ধরার এমডিকে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
news24bd.tv এসএম