এক নারী চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পথে জোর করে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয় বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী। এরপর সে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এ সময় আর্ত-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ওই নারীর সঙ্গে আতাউর রহমানকে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে ওই অফিস কক্ষে আটকে রাখেন।
সোমবার রাতে যশোরের মনিরামপুরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে মধ্যরাতে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন। আতাউর রহমান (৩১) একই গ্রামের মুনছুরের ছেলে। সে শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী পদে চাকরি করে।
পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই নারী আরও জানান, তিনি পার্শ্ববর্তী অভয়নগর উপজেলার একটি পাটকল কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। সম্প্রতি কারখানায় কাজ করতে গিয়ে তার আঙ্গুলের নখ উঠে যায়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছ থেকে ব্যান্ডেজ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে তাকে ডাক দেয় আতাউর।
তিনি জানান, সাড়া না দিলে আতাউর এগিয়ে এসে তার হাত ধরে জোর করে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢুকিয়ে নিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় আর্ত-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
থানার ওসি নুর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠিয়ে আতাউরসহ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে নারীর বয়ান অনুযায়ী ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন:
তেলের দাম বৃদ্ধি, চট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধ
এবারের পাকিস্তানকে দেখে শোয়েবের ‘ভয়’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেহেলী ফেরদৌস বলেন, তার নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার নিয়োগ বাতিলের কাগজপত্র অফিসে এসেছে।
news24bd.tv/আলী