ফেসবুক কাঁপানো সেই ‘লেডি বাইকারকে’ নিয়ে সিলেটে তোলপাড়

ফেসবুক কাঁপানো সেই ‘লেডি বাইকারকে’ নিয়ে সিলেটে তোলপাড়

অনলাইন ডেস্ক

লেডি বাইকার রিয়া রায়। সিলেটসহ সারা দেশের যুবক-যুবতী ও তরুণ-তরুণীদের কাছে পরিচিত মুখ। ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয় রিয়া। নিজের মতো অন্য তরুণীদের ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মোটরসাইকেল চালাতে উদ্ধুদ্ধ করেন সে।

এছাড়াও টিকটকেও বেশ পরিচিত রিয়া।

তবে এবার লেডি বাইকার হিসেবে নয় মাদক কারবারে ফেঁসে গেছেন তিনি। তার প্রেমিকা মাদকসহ ধরা পড়েছে পুলিশের কাছে। গত রোববার রাতে পুলিশের হাত ফসকে বেরিয়ে গেছেন তিনি।

এখন পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছে রিয়াকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রাইভেটকার থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় রিয়া ও তার বয়ফ্রেন্ড সামির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ নভেম্বর) পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়। মাদক মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেফতার রিয়া রায়ের বয়ফ্রেন্ড আরমান সামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, উশৃঙ্খল এবং বিলাসী জীবনযাপনের পাশাপাশি সামি ও রিয়া তারা দুজনই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। চতুর সামি তার গার্লফ্রেন্ড রিয়াকে বাঁচানোর জন্য রোববার রাতে পুলিশের সিগন্যালে না থেমে কিছুটা দূরে গিয়ে রিয়াকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে পুলিশের কাছে ধরা দেন। রিয়াকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে দিলেও তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট গাড়িতে থেকে যায় মাদক। এরপর পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি করে ইয়াবা ট্যাবলেট, মদ ও গাঁজা উদ্ধার করে।

সিলেট মেট্রোপলিট্ন পুলিশের (এসএমপি) বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান, আরমান সামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার এসআই গৌতম চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে রিয়া ও আরমান সামীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামি রিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

এদিকে, সিলেটের লেডি বাইকার হিসেবে পরিচিত রিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মঙ্গলবার দিনভর তোলপাড় চলে, অনেকে করেছে নানা নেতিবাচক মন্তব্য। তারা তদন্তসাপেক্ষে রিয়া ও সামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন


সিএনজিচালিত গাড়িতে স্টিকার লাগাতে হবে, না হলে ব্যবস্থা: বিআরটিএ

news24bd.tv এসএম