বিয়ের পূর্বে যৌনতা যে গ্রামের রীতি

বিয়ের পূর্বে যৌনতা যে গ্রামের রীতি

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের ছত্তীসগঢ়ের আদি জনজাতি গোন্ড। তাদেরই এক অংশের নাম ‘বাইসন-হর্ন মারিয়া’। ছত্তীসগঢ়ের জগদলপুরেই মূলত এই জনজাতিদের বাস। এখানে নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্কের যে সংজ্ঞা এরা রচনা করেছেন, তা আজও বিস্মিত করে।

 

তাদের বিশ্বাস, বিয়ের আগে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠা আবশ্যিক। এর মাধ্যমেই পরবর্তীকালে দাম্পত্যের বন্ধন আরও অটুট হবে, মনে করেন তারা। খবর ভারতীয় এক গণমাধ্যমের।   

এতে বলা হয়েছে, পুরুষ বা নারী যদি সেই সম্পর্কে খুশি না হয়ে থাকেন তা হলে যে কোনও সময় তারা সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন বিনা বাধায়।

একে অপরের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে খুশি হলে তবেই তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। আবার বিয়ের পরও যদি কারও অন্য কোনও নারী বা পুরুষকে ভাল লেগে থাকে, সে ক্ষেত্রেও বিনা বাধায় দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে আসার স্বাধীনতা রয়েছে।  

তাছাড়া, এই উপজাতির মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ভালবাসা না থাকলে সেই সম্পর্ক বয়ে নিয়ে চলার কোনও অর্থ নেই। সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য সঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা নারী-পুরুষ উভয়েরই সমান রয়েছে।

তবে বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কে কোনও নারীর সন্তান হলে, তাকেও খুব স্বাভাবিক ভাবেই আপন করে নেয় পুরো পরিবার।  

আরও পড়ুন:

প্রেমিকের বাড়িতে একসঙ্গে ৪ তরুণীর অনশন, ধরা পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা


সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ আমলা ডাব্লিউভি গ্রিগসনের একটি বইয়ের সূত্র ধরে গোন্ডদের এই অংশের জনজাতিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গ্রিগসনের লেখা ‘দ্য মারিয়া গোন্ডস অফ বস্তার’ দীর্ঘ দিন ধরে বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালগুলির পাঠ্যক্রমে রয়েছে। সেই বইকে ধরেই যাচাই করে দেখা গিয়েছে, এখনও সেই সব নিয়ম মেনেই চলে এই জনজাতি।

তবে এই জনজাতির কথা যত ছড়িয়েছে তাদের জীবনযাত্রা দেখতে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের।  

news24bd.tv রিমু   

এই রকম আরও টপিক