অনলাইন ভায়োলেন্স। দ্যা কানাডীয়ান এসোসিয়েশন অব জার্নালিস্টস (সিএজে) এর প্রেসিডেন্ট ব্রেন্ট জলির ইমেইলটা পড়তে পড়তে এই শব্দটায় চোখ আটকে গেলো। অনলাইনে ঘৃণা- বিদ্ধেষ ছড়ানো, কুৎসা ছড়ানো, চরিত্র হনন- এই শব্দগুলো এতোদিন ব্যবহৃত হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে ভায়োলেন্স- সন্ত্রাস।
অনলাইন ভায়োলেন্স- মানে অনলাইনে সন্ত্রাস।সাংবাদিকদের অনলাইন সন্ত্রাসের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে সিএজে কাজ করে যাচ্ছে গত কয়েক মাস ধরেই। সরকারের সাথে, পুলিশের সাথে এ নিয়ে তারা দেন দরবারও করছে। আজ জানালো ‘কোয়ালিশন এগেইনস্ট অনলাইন ভায়োলেন্স’ নামের একটি মোর্চার সাথে যুক্ত হয়েছে সিএজে।
ফেসবুক, ইউটিউব নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংসদে আইন প্রণয়নের পক্ষে কানাডার লিবারেল সরকারের অন্যতম একটি প্রধান যুক্তি হচ্ছে, সমাজে কোনো নাগরিক হয়রানির শিকার হলে, সহিংসতার শিকার হলে তিনি পুলিশের স্মরণাপন্ন হতে পারেন, আইনের প্রতিরক্ষা পেতে পারেন।
অনলাইন বা ভার্চ্যুয়াল জগতে হয়রানির, সহিংসতার শিকার যে কোনো নাগরিকেরও পুলিশের স্মরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ থাকা উচিৎ, অনলাইন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার এখতিয়ার পুলিশের থাকা উচিৎ। নতুন সংসদে লিবারেল এই বিলটি জোড়ালোভাবে উত্থাপন করবে।
সেটি তো গেলো সরকারের কথা।
কানাডার সাংবাদিকদের সংগঠন সিএজেও সদস্য সাংবাদিকদের অনলাইন সন্ত্রাস থেকে প্রোটেকশন দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশে দেশে সাংবাদিকরা অনলাইন ভায়োলেন্সের শিকার হচ্ছেন, ক্যারেক্টার অ্যাসেসিনেশনের শিকার হচ্ছেন- এগুলোর বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক প্ল্যাটফরম তৈরি হচ্ছে- এটাই হচ্ছে আশার খবর।
আরও পড়ুন
বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন জেমস
news24bd.tv এসএম