বগুড়ায় জমে উঠেছে দেশের বৃহৎ শাঁওলের হাট

Other

ভোরের ঘাসে শিশির আর সকালের সোনা রোদ জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। আর শীতের আগমনী বার্তায় ব্যস্ততা বেড়েছে বগুড়ার চাদর কম্বল গ্রামে। শীতে চাহিদা বাড়ে তাই ব্যস্ত কম্বল ও চাদর তৈরীর কারিগররা।

পরিবারের ছোট বড় সবাই মিলে এখন তাঁতের কাজে ব্যস্ত।

তাঁত পল্লীকে ঘিরে গড়ে ওঠা চাদর কম্বল প্রসিদ্ধ দেশের বৃহৎ শাঁওলের হাট জমে উঠেছে। তবে উৎপাদন খরচ বাড়লেও দাম বাড়েনি এই হস্তশিল্পের। রয়েছে পূঁজি সংকট।  

একটানা তাঁতের খট খট শব্দ আর সুতার নাচুনিতে মুখর এ গ্রামের পরিবেশ।

নারী পুরুষসহ ছোট বড় সকলের ব্যস্ততা এই তাঁত শিল্পকে ঘিরে। প্রতিটি সুতার বুননে মিশে আছে তাদের গ্রামীন জীবনের সুখ দু:খ আর স্বপ্ন। শাওইল সহ আশে পাশের গ্রামের মানুষরা আকড়ে আছে তাদের এই আদি শিল্পকে।

গার্মেন্টসের বাতিলকৃত ঝুট বা সুতা প্রকৃয়াজাত করে তা দিয়ে তৈরি করা হয় কম্বল, চাদর, মাফলার, গামছা, বিছানার চাদরসহ আরো অনেক কিছু। সারাদেশে শীতকালে বিতরণকৃত কম্বলের সিংহভাগই উপাদিত হয় শাওইল ও এর আশপাশের কয়েকটি জেলায়।   

আরও পড়ুন


বাড়তি ভাড়া আদায় ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

নারীর সঙ্গে পরকীয়া, এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া অতঃপর...

কোহলির ৯ মাস বয়সী কন্যাকে ধর্ষণের হুমকি, আটক ১


কাক ডাকা ভোরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা আসেন এখানে। ভোর থেকে চলে বেচাকেনা। হাটে ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ১৫শ দোকানে সুতা,রং, তাঁতের চরকা, তাঁত মেশিনের সরঞ্জাম ও লাটাইয়ের বেচাকেনা চলে বছর জুড়ে। ব্যাংক ঋন, প্রশিক্ষণসহ সরকারী সুযোগ সুবিধা পেলে আরো এই শিল্পের মান ও উৎপাদন আরো বাড়ানো সম্ভব। একই সঙ্গে মানসম্মত এসব চাদর কম্বল দেশের বাইরে রপ্তানী করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

শীত মৌসুমে নভেম্বর থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকার বেচা কেনা হয় শাঁওলা হাটে। তাঁতিদের সরকারি সুযোগ সুবিধা বাড়াতে পারলে গ্রামটি হতো দুষ্টান্ত মূলক রপ্তানি ক্ষেত্র।   

news24bd.tv/ কামরুল