বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ: সাফাতসহ ৫ জন খালাস

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ: সাফাতসহ ৫ জন খালাস

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।  

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।  

এদিন কারাগারে আটক পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বেলা ১ টা ১০ মিনিট বিচারক রায় পড়া শুরু করেন।

রায় পড়া শেষ হলে বেলা ২ টা ৫১ মিনিটে এই রায় ঘোষণা করেন।  

মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর এ মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক অসুস্থ থাকায় এই রায় পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

তবে ওইদিন প্রবীণ আব্দুল বাসেত মজুমদার মৃত্যুবরণ করায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এজন্য রায়ের দিন পিছিয়ে ১১ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

গত ৩ অক্টোবর জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। তবে জামিনে থাকা পাঁচ আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পাঁচ আসামির নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।  

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এসময় পাঁচ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন।  

গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ সমর্থনে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ পড়ে শোনান। এ সময় বিচারক তাঁদের প্রশ্ন করেন, আপনারা দোষী না নির্দোষ? উত্তরে তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।  

এরপর ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শফিউল আজম পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। গত ৪ এপ্রিল এ মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমির আদালতে জবানবন্দি দেন।  

গত ২২ আগস্ট তার জেরার মধ্য দিয়ে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এনিয়ে এ মামলায় মোট ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এ সময় আদালত আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

news24bd.tv/ কামরুল