হার্দিক পান্ডিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাংস্টারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ!

হার্দিক পান্ডিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাংস্টারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ!

অনলাইন ডেস্ক

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরমেন্সের পর থেকেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। শুধু ক্রিকেটাররা নয় টিম সংশ্লিষ্ট সবাইকে তুলোধুনো করছেন ভক্ত-সমর্থকরা। এবার এলো আগুনে ঘি ঢালার মতো খবর।  খবরটি হলো ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা (এএনআই) থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন ভারত জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া। রেহনুমা ভাটি নামের এক মহিলা মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ থানায় গত ২৪ই সেপ্টেম্বর এই অভিযোগ দায়ের করেন। রেহিনুমা ভাটি আন্ডারওয়ার্ল্ড কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠজন, রিয়াজ ভাটির স্ত্রী।

রেহিনুমা অভিযোগ এনেছেন তার স্বামী রিয়াজ ভাটির বিরুদ্ধেও।

তার আনিত সেই অভিযোগে জড়িয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লার নামও। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মুনাফ প্যাটেলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন তিনি। এই নারী জানিয়েছেন, জোর করে তাকে দিয়ে দেহব্যবসা করাতেন তার স্বামী রিয়াজ ভাটি।

হার্দিক পান্ডিয়ার বিপক্ষে আনিত সেই অভিযোগে রেহিনুমা বলেছেন, তাকে ধর্ষণ করেছেন হার্দিক। ধর্ষণ করার সময় মাদকাসক্ত ছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় জড়িত ছিলেন আরেক ক্রিকেটার মুনাফ প্যাটেল, প্রাক্তন বিসিসিআই চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা এবং পৃথ্বীরাজ কোঠারি।

হিন্দুস্তান টাইমস খবর করেছে, রেহনুমার স্বামী রিয়াজ দাউদের খুবই ঘনিষ্ট। আর তিনি নাকি তাঁর স্ত্রীকে জোর করে অন্য ব্যক্তির যৌন মিলনে লিপ্ত করাতেন। তাই নিজের স্বামীর বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন রেহনুমা। যদিও কবে, কখন এবং কীভাবে এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেননি রেহনুমা। তাই, আপতত কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেটার বা রাজনীতিবিদ কেউই এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। রেহনুমার আবেদনের পক্ষে এখনো প্রমাণ মেলেনি বলে জানানো হয়েছে।


আরও পড়ুন:

হরিণের মতো দেখতে আফ্রিকান ‌‘নায়ালার’ ঘরে নতুন অতিথি

লক্ষ্মীপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেলো দুই বোনের

প্রেমের টানে ময়মনসিংহে এসে ফিলিপাইনের সেই নারী আজ জনপ্রতিনিধি


রেহনুমা ভাটি বলেছেন, তার দাবি নাকি আমলেই নিচ্ছে না পুলিশ। দ্য প্রিন্ট পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি পুলিশের কাছে এফআইআর করার চেষ্টা করছি, কিন্তু তারা কোনো সাহায্য করছে না। আমি গত সেপ্টেম্বরে আবেদন করেছি, এখন নভেম্বর চলছে। আমি পুলিশ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমাকে ঘুষ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি কেন দুর্নীতি বাড়াব? আমি আমার জায়গায় ঠিক আছি। ওরাই তো সন্ত্রাসী। ’

এ ব্যাপারে পুলিশের সহকারী কমিশনার মঞ্জুনাথ সিংহেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্বীকার করেছেন, একটি আবেদন তাঁদের কাছে আছে। তবে ‘এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলার মতো কোনো তথ্য নেই’ তার কাছে।

news24bd.tv নাজিম