সিলেটের সেই লেডিবাইকারকে খুঁজছে পুলিশ

সিলেটের সেই লেডিবাইকারকে খুঁজছে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক

২২ বছরের তরুণী, নাম তার রিয়া রায়। নিজেকে সিলেটের ফাস্ট লেডি বাইকার হিসেবে দাবি করেন। মাথায় হেলমেট, চোখে রঙ্গিন চশমা পরে বিলাসবহুল মোটরবাইক নিয়ে সিলেট নগরীর অলিগলিসহ রাজপথে দেখা মিলতো তার।  

এ লেডি বাইকার খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন হেলমেট-পার্টস কোম্পানিসহ বিলাসবহুল মোটরসাইকেল ‘ইয়ামা’ কোম্পানির বিজ্ঞাপনেও লেডি বাইকার রিয়া রায়কে দেখা গেছে।  

নেট দুনিয়ায় ‘লেডি বাইকার‘ নামে পরিচিত এই তরুণী ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে তরুণীদের মোটরসাইকেল চালাতে উদ্বুদ্ধ করতেন তিনি। তৈরি করতেন টিকটক ভিডিও।

ইউটিউব, ফেসবুকের পরিচিত মুখ রিয়াকে এক সপ্তাহ ধরে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।

নেপথ্যে রয়েছে মাদক নেটওয়ার্ক। তবে রিয়ার প্রেমিক সামি মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।  

পুলিশ বলছে, বিলাসী জীবনযাপনের পাশাপাশি রিয়া ও সামি মাদকাসক্ত হয়। একপর্যায়ে তারা মাদক কারবারে জড়ায়। লেডি বাইকার রিয়া কৌশলে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার তরুণ-তরুণীদের কাছে মাদক বিক্রি করে আসছে।

রিয়ার মাদক জগতের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তার কর্মকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে। তাকে নিয়ে নানা জল্পনা হচ্ছে সিলেট নগরীর কুমারপাড়ার ঝরনারপাড় এলাকায়ও।

পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে ও এজাহার অনুযায়ী, পুলিশের ধাওয়ায় প্রেমিক সামির সহযোগিতায় পালিয়ে যান লেডি বাইকার রিয়া। সামি নগরীর মিরাপাড়ার শামসুল ইসলামের ছেলে আর রিয়া কুমারপাড়ার ঝরনারপাড়ের রামু রায়ের মেয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ষোলঘর এলাকায়।

জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর রাতে প্রেমিক সামিকে নিয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট-সংলগ্ন এলাকায় যান রিয়া। নীল রঙের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো খ ১৪-০৫১২) নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরছিলেন তারা। টহল পুলিশের সন্দেহ হলে গাড়িটি থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। একটু দূরে গিয়ে থামে গাড়িটি। তখন গাড়ি থেকে এক তরুণী দ্রুত নেমে যান।

তাৎক্ষণিক সামিকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর সামিই জানায়, পালিয়ে যাওয়া তরুণী তার প্রেমিকা রিয়া। তখন পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে পানির বোতলে রাখা ৫০০ মিলিগ্রাম মদ, ১০ পিস ইয়াবা ও দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে।


আরও পড়ুন:

বিএনপি দেউলিয়া হয়ে সর্বহারাতে রূপ নিতে যাচ্ছে: কাদের

কাজাখস্তানের জালে ফ্রান্সের গোল উৎসব


এ ঘটনায় ৮ নভেম্বর এয়ারপোর্ট থানার এসআই গৌতম চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে রিয়া ও সামিকে আসামি করে মাদক মামলা করেন।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাইনুল জাকির বলেন, ‌রিয়ার সহযোগী সামি কারাগারে থাকলেও তিনি পলাতক। আসামি রিয়াকে গ্রেপ্তারে সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ।

news24bd.tv নাজিম

এই রকম আরও টপিক