প্রেমিকের যোগসাজসে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ

প্রেমিকের যোগসাজসে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ

Other

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রেমিকের যোগসাজশে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে তিন মাস আটকে রেখে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মামুন (২৮), কামাল (৪৬), নাছের ও ফরহাদ (২৭) সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে আজ সোমবার সকালে মামলা রেকর্ড করেছে।

মামলার বাদী ভিকটিম জানান, তার গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জের একলাশপুরে।

তিনি নবম শ্রেণির ছাত্রী, থাকতেন মজুমদার হাট খালার বাড়িতে।  খালার বাড়িতে থেকেই তিনি পড়ালেখা করতেন।  স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মামুন সহ অন্য আসামিরা উত্যক্ত করত বলে তিনি অভিযোগ করেন।   

আরও পড়ুন:


ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে কোপাল দুর্বৃত্তরা

গত ২৬ আগস্ট স্কুলে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে নেয়।

তাকে নিয়ে যায় সোনাইমুড়ী ছাতারপাইয়ায় অজ্ঞাত এক লোকের বাড়িতে।  সেখানে তাকে ধর্ষণ ও তা ভিডিও করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে,  আসামীরা সেই ভিডিও ভাইরাল করারও হুমকি দিয়েছে।

সেখানে টানা এক মাস সেই ছাত্রীকে আটকে রাখা হয়।  এরপর তাকে আনা হয় ঢাকায়।  ঢাকা থেকে নেওয়া হয় টাঙ্গাইল জেলার শহিদুপুর নামক স্থানে। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় তাকে দুই মাস আটকে রাখা হয়। এসময় তাকে গণধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে।   

পরে ভিকটিম কৌশলে তার খালা ও মা বাবার সহায়তায় পালিয়ে বাড়িতে আসে। এই ঘটনায় রোববার রাতে ভিকটিম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।  

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল হক রনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।    

news24bd.tv/ কামরুল