ভালো আমল আর খারাপ আমল-এ দুটি নিশ্চিত করবে আপনি মৃত্যুর পর কোথায় থাকবেন। ভালো আমল যে করবে কবর তার জন্য বন্ধুত্ব ও আনন্দের ঘর। আর যে ব্যক্তি খারাপ আমল করবে এবং আল্লাহর আনুগত্যের ক্ষেত্রে ত্রুটি করবে, কবর তার জন্য ভীতি ও অন্ধকারের ঘর।
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কবর পরকালের প্রথম ঘাঁটি।
মহানবী (সা.) আরো ইরশাদ করেছেন, ‘যদি এই ভয় না থাকত যে তোমরা মৃতকে দাফন করবে না, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম, যাতে তিনি কবরের যে আজাব আমি শুনতে পাই, তা যেন তোমাদের শুনিয়ে দেন। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৩৯২)
মহানবী (সা.) প্রায়ই এই দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই।
এসব হাদিস থেকে কবরের আজাবের সত্যতা প্রমাণিত হয়।
যেসব কারণে কবরবাসীরা আজাব ভোগ করবে? এ প্রশ্নের জবাব সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত দুইভাবে দেওয়া যায়। সংক্ষেপে বললে, আল্লাহকে না চেনা, তাঁর আদেশ অমান্য করা এবং গুনাহর কাজে লিপ্ত হওয়া কবরের আজাবের অন্যতম কারণ। রাসুল (সা.) নিম্নোক্ত লোকদের সম্পর্কে কবরের আজাব ভোগের কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো—
১. কুৎসাকারী ও পরনিন্দুক।
২. যে ব্যক্তি পেশাব করা থেকে উত্তমরূপে পবিত্র হয় না।
৩. মিথ্যুক।
আরও পড়ুন:
বেগানা নারী-পুরুষের নির্জনে অবস্থান নিষিদ্ধ
৪. জিনাকারী।
৫. সুদখোর।
মহান আল্লাহ আমাদের কবরের আজাব থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
news24bd.tv রিমু