মোংলা বন্দরে জাহাজ ডুবি, মিলল ২ নাবিকের লাশ

মোংলা বন্দরে জাহাজ ডুবি, মিলল ২ নাবিকের লাশ

অনলাইন ডেস্ক

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ৯ নম্বর বয়া’র হাড়বাড়িয়া এলাকায় একটি বিদেশি জাহাজের ধাক্কায় ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই বাল্কহেড জাহাজ এমভি ফারদিন- ১ ডুবে গেছে।

সোমবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে এই বাল্কহেড জাহাজ ডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড বাল্কহেডের সুকানী (চালক) মহিউদ্দিন ও নূর ইসলাম নামের এক কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত বাক্লহেড চালক মহিউদ্দিন ও নূর ইসলামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে তিনজন নাবিক।

 আরও পড়ুন:


৫ কোটি টাকার ঘড়িসহ পান্ডিয়াকে আটকে দিল ভারতের কাস্টমস

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাড়ছে কানের সমস্যা


দুর্ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কোস্টগার্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মোংলা কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা মো. আবু মুসা জানান, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ৯ নম্বর বয়া’র হাড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থানরত বিদেশি জাহাজ এমভি এলিনা বি থেকে সোমবার রাতে ৬০০ মেট্টিক টন কয়লা বোঝাই করে বাল্কহেড জাহাজ এমভি ফারদিন- ১। কয়লা বোঝাই শেষে বিদেশি জাহাজ থেকে প্রায় ৭০০ গজ দূরে যেতেই সোমবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে মোংলা বন্দরে টিএসপি সার খালাস করে ছেড়ে যাওয়ার সময় পানামা পতাকাবহী হ্যান্ডিপার্ক জাহাজটি (মাদার ভেসেল) সজোরে ধাক্কা দিলে বাল্কহেড জাহাজটি কাত হয়ে ডুবে যায়।

বিদেশি জাহাজের সাথে ধাক্কা খেয়ে এ দুর্ঘটনার সময় বাল্কহেডটিতে দুজন নিরাপত্তা কর্মী ও ৫ জন নিজস্ব নাবিক ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে দুজন নদী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।

উদ্ধার হওয়া জীবিত নাবিকরা হলেন, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার পাইটখালী গ্রামের রায়হান চৌধুরী, বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মাকরডোন নারিকেলতলা এলাকার মো. রুবল। নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড বাল্কহেডের সুকানী (চালক) মহিউদ্দিন ও নূর ইসলামের লাশ উদ্ধার করেছে। এখনো পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মো জিহাদ, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার মো. রবিউল ইসলাম ও বাগেরহাটের মোংলা থানার মো. মাসুম নামে তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।

তাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড। বিদেশি জাহাজ এলিনা বি’ র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজ জানান, বাল্কহেডটিতে দুজন নিরাপত্তা কর্মী ও ৫ জন নিজস্ব নাবিক ছিলেন। বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়ার সময় দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কোস্টগার্ড নিয়ে গেছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি আমদানি কয়লা নিয়ে ঢাকার মিরপুরের গাবতলীতে যাওয়ার কথা ছিল।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, বাল্কহেডটি মোংলা
বন্দরের মুল চ্যানেলের বাহিরে পূর্ব পাশে চরের দিকে ডুবেছে, এতে করে মোংলা বন্দর চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও সতর্কতা হিসেবে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি স্থানে মার্কিং বয়া স্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে গত ৮ অক্টোবর সার নিয়ে বন্দরের পশুর নদীতে ও ৯ অক্টোবর পাথর নিয়ে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় দুইটি
কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে।

news24bd.tv/তৌহিদ