মাদরাসার দুই শিশুকে মারধরের ঘটনায় সেই শিক্ষক আটক

মাদরাসার দুই শিশুকে মারধরের ঘটনায় সেই শিক্ষক আটক

Other

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার হাজী ইউসুফ আলী এতিমখানায় হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার দুই শিশুকে বেধড়ক ভাবে  মারধর করার ঘটনায় সেই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক হওয়া অভিযুক্ত শিক্ষক ছাতক উপজেলার হাজী ইউসুফ আলী এতিমখানায় হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মো. আব্দুল মুকিত (৪০)।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এক মাদ্রাসার শিক্ষক ৮ বছরের এতিম শিশুকে বেধড়ক ভাবে মারধর করছেন। পরে এই ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত দেখিয়ে পুলিশ আটক করে।

সম্প্রতি, দুই মিনিট দুই সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পাজামা-পাঞ্জাবি পরা তিন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছে। ওই মাদরাসা শিক্ষক তাদের মধ্যে এক শিশুর দুই হাতে বেত দিয়ে আঘাত করছেন।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, শিক্ষকের পিটুনি খেয়ে শিশুটি উচ্চকণ্ঠে ‘হুজুর আর ইতা করতাম না হুজুর’, ‘আর ইতা করতাম না’ বলে চেঁচিয়ে কাঁদছে। তবে এরপরেও শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেত দিয়ে আঘাত করতে থাকেন ওই শিক্ষক। একপর্যায়ে শিশুটি ওই শিক্ষকের পায়ে ধরে। পরে স্টিলের স্কেল দিয়ে ওই শিক্ষক তাকে মারতে থাকেন। তার আগে আরও দুই শিশু শফিউর ও নিলয়কেও পেটানো হয়।

এভাবে শিশুদের পেটানো ছাতক উপজেলার হাজী ইউসুফ আলী এতিমখানায় হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মো.আব্দুল মুকিত কয়েক বছর আগে ওই মাদরাসায় নিয়োগ পান। তিনি উপজেলার রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিয়োগের পর থেকে তিনি প্রায়ই শিশুদের মারধর করতেন।

আরও পড়ুন


বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অসুস্থ

news24bd.tv এসএম