এক জীবনে এক ডিক্টেটরই যথেষ্ট!

এক জীবনে এক ডিক্টেটরই যথেষ্ট!

Other

এই বিখ্যাত ছবিটা আমরা সবাই দেখেছি। একজনকে তো চিনিই, আর দুজন কে? অবাক ব্যাপার হচ্ছে দু'জনের কেউই সামরিক অফিসার নন। দু'জনেই শিল্পী।

হিটলারের প্রিয় দুই শিল্পী।

বা'য়েরজন আলবার্ট স্পিয়ার আর ডানেরজন আরনো ব্রেকার। এই ছবি তোলার পাঁচ বছরের মধ্যেই হিটলারের পতন হয়।

স্পিয়ার ধরা পড়েন নুরেমবার্গ ট্রায়ালে কোন রকমে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেলেও বাকি জীবনটা জেলেই কাটাতে হয়। জেলে থেকে একটা সত্য-মিথ্যা মেশানো আত্মজীবনীও লিখেছিলেন স্পিয়ার।

কিন্তু অন্যদিকে ব্রেকার ছিলেন ভাগ্যবান। ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলম্পিকে তিনি ছিলেন রাষ্ট্রীয় ভাষ্কর। তার বিশাল সরকারি স্টুডিওতে কাজ করতো ৪৩ জন নামকরা জার্মান শিল্পী।

news24bd.tv

যুদ্ধের পরেও ব্রেকারের প্রতাপ একই রকম থাকলো কোন এক অজানা কারণে। এমনকি স্ট্যালিন ব্রেকারকে কাজ দিতে চেয়েছিলেন। ব্রেকার বলেছিলেন। এক জীবনে এক ডিক্টেটরই যথেষ্ট।

ডুসেলডর্ফে তার একটা ভাষ্কর্য আছে নাতসি আমলের; নামা পালাস আথেনে। ভাষ্কর্যে মাথায় বিশাল শিরস্ত্রান হাতেবুচু ধনুক। আশির দশকে কোলন শহরের কাছে তৈরি হয় আরনো ব্রেকার মিউজিয়াম।

নাজি রাজনীতি করে, হিটলারের ঘনিষ্ঠ হয়েও দাপটের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেও জীবন কাটিয়ে গেলেন এই শিল্পী। শুধু কি প্রতিভার জোরেই?

আরও পড়ুন


মত প্রকাশের স্বাধীনতার কী পরিস্থিতি হবে?

news24bd.tv এসএম