সৌদি আরবে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন নারী

প্রতীকী ছবি।

সৌদি আরবে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন নারী

অনলাইন ডেস্ক

সৌদি আরবে পাচার হয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়া এক নারীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনেছে র‍্যাব। যাকে দেড় মাস সৌদি আরবে আটকে রেখে একটি আরব পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে তাকে বৈদ্যুতিক শকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হতো।

র‍্যাব-৪ এর অপারেশন অফিসার সাজেদুল ইসলাম জানান, গত ৩০ অক্টোবর ঢাকা মহানগরীর তেজগাঁও থানা এলাকার আয়াত ওভারসীসের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সেদিনই পাচার এক নারীকে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

তখন সেই নারী সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে কী ধরনের পৈশাচিক নির্যাতন হয়েছিল তা জানান।

ওই নারী র‍্যাবকে জানায়, সৌদি আরবে অবস্থিত দাম্মাম শহরের একটি এজেন্টের অফিসে এখনো মোছা. নাজমা বেগম , দীপ্তি আক্তার ও মোছা. রোকসানা আক্তার নামের তিনজন নারী দেশের দালালদের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে প্রতিনিয়ত নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। এতে তারা শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ এবং তাদের পক্ষে সাধারণ চলাফেরা করা অসম্ভব।

র‍্যাব জানায়, ওই নারীর নিকট এমন তথ্য পেয়ে র‌্যাব-৪ নিজস্ব উদ্যোগে সেই পাচার তিনজন নারীকেও দেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এর ফলশ্রুতিতে আল-আরাফা ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে গতকাল বুধবার ফ্লাইটে সৌদি আরবে অবস্থানরত পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার তিন নারীর মধ্যে মোছা. নাজমা বেগমকে (৩৮) বাংলাদেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।

উদ্ধার মোছা. নাজমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব আরও জানায়, গত দেড় মাস যাবৎ সৌদি আরবের একটি অফিসে তাকে আটক রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে একটি আরব পরিবারের নিকট বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ওই পরিবারটি তাকে বিভিন্ন সময় মারধর করা ছাড়াও বৈদ্যুতিক শকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো।

র‌্যাব-৪ এর নিজস্ব উদ্যোগে নাজমাকে ফেরত আনা হয়েছে।

এ ছাড়া সৌদি আরবে অবস্থানরত অন্য দুজন নারীকে দেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।

আরও পড়ুন: 

‌‌‘শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া’ ইস্যুতে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

news24bd.tv তৌহিদ