জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাঘাপাড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাম্মী আকতার মিলিকে (১৫) যৌন হয়রানির অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর সোমবার থানায় মামলা হয়। ঘটনার ১০ দিন পর ওই কিশোরী অপমান সইতে না পেরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শাম্মী আক্তার বড়তারা গ্রামের মিলন মিয়ার মেয়ে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় বড়তারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাঘাপাড়া গ্রামের মামুনুল ইসলাম মামুনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) দীর্ঘদিন থেকে যৌন হয়রানি করে আসছে স্থানীয় বড়তারা হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থীকে। গত ৭ নভেম্বর স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল ওই শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠান শেষে বিকালে বাড়ি ফেরার পথে তার সাথে দেখা হয় বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমানের সঙ্গে। শাহিনুর তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ভিন্নপথ ঘুরে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে নামিয়ে দেয়।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ৮ নভেম্বর দুপুরে রফিকুল ইসলাম ও শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। রফিকুলের বাড়ি উপজেলার বাঘাপাড়া এবং শাহিনুরের বাড়ি বড়তারা গ্রামে।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাজ্যে ১০ বছরের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি
এক বছরে ভুটানে চারটি গ্রাম নির্মাণ করেছে চীন
সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের পর টেনিস তারকা নিখোঁজ
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাকে স্থানীয় দুইজন যুবক যৌন হয়রানি করেছিল- এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি পলাতক আছে। লাশ থানায় নেওয়া হয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে তার আত্মহত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে
news24bd.tv/আলী