কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ : প্রহসনের বিয়ের ৭ দিন পর তালাক

কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ : প্রহসনের বিয়ের ৭ দিন পর তালাক

অনলাইন ডেস্ক

১৪ বছরের কিশোরীতে ধর্ষণ ও অপহরণের মামলা থেকে বাঁচতে প্রহসনের বিয়ে করে সেলিম হোসেন। কিন্তু বিয়ের ৭ দিন যেতে না যেতেই ওই কিশোরীর তালাকনামা দিতে এসে আটক হয়েছেন ধর্ষকের মামা।

ঢাকার ধামরাইয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের অর্জুননালাই গ্রামে।

ওই কিশোরীকে সঙ্গে না এনেই কিশোরীর পিত্রালয়ে শুধুমাত্র তালাকের কাগজে পৌঁছাতে আসলে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে বর্তমান মেম্বার ও মেম্বার প্রার্থীসহ ৫ জনকে আটক করা হয়।

এ সময় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে অপহৃত ওই কিশোরীর বাড়ির সবাই ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। এ সুযোগে রাস্তায় একা পেয়ে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের ধূল্লা গ্রামের আব্দুল লতিফের বখাটে ছেলে সেলিম হোসেন সদলবলে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে। এরপর সাটুরিয়ার কলাসুর এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

এ সময় কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ওই অপহরণকারীকে আটক করেন।

অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে কলাসুর ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. রোবেল হোসেন ও মেম্বার প্রার্থী মো. আব্দুল গফুরের পরামর্শে এবং তাদের সার্বিক সহায়তায় মানিকগঞ্জ নোটারি পাবলিক আদালতে এফিডেভিট করে বিবাহ সম্পন্ন করে।

এরপর বুধবার খোলা তালাক সম্পাদন দেখিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে অপহরণকারী সেলিম হোসেনের মামা মো. খুরশেদ আলম, বর্তমান ইউপি মেম্বার মো. রোবেল হোসেন, মেম্বার প্রার্থী মো. আব্দুল গফুর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নয়া মিয়া ও মাতবর মো. আসলাম হোসেনসহ ৫ জন ওই কিশোরীর পিত্রালয়ে যান।

এ সময় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয় ওই কিশোরীকে না পেয়ে। তাদের ধারণা ওই কিশোরী মেয়েকে অপহরণকারী হয়তো অমানুষিক নির্যাতনের পর হত্যা করেছে। পরে কিশোরী কোথায় জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘেরাও করে তাদের আটক করেন।

খবর পেয়ে গাঙ্গুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের মোল্লা ঘটনাস্থলে এসে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেন।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে গ্যালারিতে ফিরছে দর্শক, জানা গেলো টিকিটের মূল্য

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বিকেলে

পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে কীসের প্র্যাকটিস: তথ্য প্রতিমন্ত্রী


 

এ ব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. রাসেল মোল্লা বলেন, আমাদের কাছে কেউ এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেননি। সাংবাদিকদের মুখেই ঘটনাটি প্রথম শুনলাম। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

news24bd.tv/আলী