স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর সুইসাইড নোট লিখে শিক্ষকের আত্মহত্যা

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর সুইসাইড নোট লিখে শিক্ষকের আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক

একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় আলোড়ন তৈরি হয়েছে ভারতের কোচবিহার শহরে। এক ঘরে স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ, অন্যদিকে পাশের ঘরে শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানা যায়, কোচবিহারে আদতে দিনহাটার গোসানিবাড়ির বাসিন্দা ছিলেন উৎপল বর্মন (৩৮)।

তিনি কোচবিহারের এ বি এন শীল কলেজে অস্থায়ী শিক্ষক পদে চাকরি করতেন। শহরের গুঞ্জবাড়ি একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী অঞ্জনা ও একমাত্র ছেলে অদৃশকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) মোবাইল ফোনে পরিবারের সাথে কথা বলেছিলেন ওই শিক্ষক। খুব তাড়াতাড়ি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল উৎপল বর্মণের।

গ্রামের পরিবারের সদস্যরা উৎপলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে কোচবিহার শহরে উৎপলের ভাড়া বাড়িতে আসেন তারা।  

দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করে না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তারা। তখনই দেখা যায় একটি ঘরে সিলিং ফ্যানে ঝুলছে উৎপলের দেহ। তার হাত বাঁধা ছিল। স্ত্রী অঞ্জনা ও ছেলে অদৃশের দেহ পাশের ঘর থেকে উদ্ধার হয়। খবর দেয়া হয় স্থানীয় থানায়। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।  

সংবাদ সম্মেলনে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান, বাড়ি থেকে ১২ পাতার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেই সুইসাইড নোটে উৎপল বর্মণ লিখেছেন, কীভাবে স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করার পর তিনি নিজে আত্মহত্যা করেছেন। জীবনে কী পেয়েছেন, আর কী পাননি, সে কথাও লিখেছেন।  
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বর্মণ পরিবারের সম্ভবত আর্থিক অনটন চলছিল। সেই কারণে এই ঘটনা। তবে বাড়ির লোকেরা যদি অভিযোগ করেন, সে ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত করবে।

আরও পড়ুন:

ম্যাচের আগে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন মাহমুদুল্লাহ


news24bd.tv/ নকিব